কুরআন আল্লাহ পাকের বাণী, মালিকের তরফ থেকে বান্দার জীবন চলার পথনির্দেশিকা। এই পবিত্র কিতাবকে যেমন বিশুদ্ধভাবে সুন্দর আওয়াজে তেলাওয়াত করতে বলা হয়েছে, ঠিক তেমনি নির্দেশ করা হয়েছে এর প্রতিটি আয়াত নিয়ে গবেষণা ও চিন্তা-ফিকির (তাদাব্বুর ও তাফাকুর) করতে। ইরশাদ হয়েছে, 'আমি আপনার উপর নাজিল করেছি অত্যন্ত বরকতময় এক কিতাব, যাতে তারা এর আয়াত নিয়ে গভীর চিন্তা-ফিকির করে এবং জ্ঞানী ও চিন্তাশীলরা তা থেকে শিক্ষা নেয়।' (সুরা সোয়াদ, আয়াত ২৯) অথচ আমাদের সমাজে কুরআন কেবল তেলাওয়াতেই সীমাবদ্ধ। হ্যাঁ, এতে কোনো সন্দেহ নেই অর্থ না বুঝে তেলাওয়াত করলেও সওয়াব হবে। কিন্তু শুধুমাত্র সওয়াব হাসিল করা কুরআন পাঠের উদ্দেশ্য হতে পারে না। ইবনুল কাইয়িম জাওযিয়া (রহ.) বলেন, 'আল্লাহ কুরআন এই জন্যই দিয়েছেন যাতে চিন্তা ও গবেষণা করা হয়, সেই মোতাবেক আমল করা হয়। এগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে শুধু তেলাওয়াতের জন্য কুরআন নাজিল করা হয়নি।' যদি অর্থ বুঝে কুরআন পড়ি, তাহলে আল্লাহর বলা আদেশ-নিষেধ সরাসরি আমাদের মনে প্রভাব ফেলবে। আর এটাই কুরআনের মূল উদ্দ্যেআল্লাহ আমাদের কী বলেছেন তা বুঝে যেন আমলে পরিণত করি। কুরআনই যদি না বুঝি, চিন্তা-ফিকির আসবে কোথেকে আর আমাদের মধ্যে পরিবর্তনই-বা আসবে কীভাবে?