মা'র কথা মনে পড়তেই কেমন যেন হয়ে যাই। দুই চোখ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ঝরে। বুকের ভেতর গভীর শূন্যতায় হাহাকার করে উঠে। খুব মন খারাপ হয়। মা'র জন্য মমতা অনুভব করি। মা'র জন্য টান অনুভব করি। মা'র জন্য ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিই। কিন্তু, মাকে কাছে পাই না। মাকে মা বলে ডাকতে পারি না। মায়ের শাড়ির আঁচলের স্পর্শ পাই না। মা তোমাকে মনে পড়ে। খুব মনে পড়ে মা। ভীষণ মনে পড়ে। সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায়- তোমাকে মনে পড়ে মা। কত খুঁজি তোমাকে, কিন্তু পাই না। কী করে পাব? তুমি যে অনেক দূরে চলে গেছ মা। দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে আছ। মা, তোমার ঘরে ঢুকে কেবলই কষ্ট পাই। চোখ দিয়ে পানি পড়ে। কষ্টের তীব্রতায় শুধু কাঁদি আর ভাবি-মাকে কখনোই পাব না, মা বলে ডাকতে পারব না, শত ডাকলেও মা আসবে না। মা যে চিরদিনের জন্য হারিরয়ে গেছে। তোমার ঘরে কয়েকটি ছবি আছে। দেয়ালে টাঙানো ছবি দেখতে দেখতে ভাই-বোনরা কতবার মনে করি, কতবার হাউমাউ করে কাঁদি আর ভাবি-মা যদি ফিরে আসত! মা যদি আদর করত! অনেক বছর হয়ে গেল মা'র আদর পাই না। মা, তোমার ঘরের আলমারিটা সেই আগের মতোই আছে। যখনই খুব করে মনে পড়ে, আলমারি খুলে শাড়ির ঘ্রাণ নিই আর ভাবি মা বুঝি কাছাকাছি আছে। আলমারিতে তোমার চশমা দেখতে দেখতে কল্পনা করি-মা বুঝি এখনই খোকা বলে ডাক দেবে। মাকে মনে পড়ে-মায়ের উপাখ্যান। সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতেই এই উপন্যাস।