বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ঘুরপাক খায় যখন মানব মন, স্রষ্টার অস্তিত্ব তালাশে দিশেহারা নাবিক যখন পথ খুঁজে বেড়ায় গহীন সমুদ্রে, বিশালাকার ঢেউয়ের গর্জনে দিগ্বিদিক জাহাজ তখন দুলতে থাকে ডুবে যাওয়ার আতঙ্কে। নাবিকের চোখে ভয় আর দুশ্চিন্তার ছাপ, তীরে জাহাজ ভেরানোর ক্ষীণ আসা। কে বাঁচাবে এ কঠিন দুঃসময়ে? স্রষ্টা বলতে আসলেই কেউ আছে? অথচ এমন ভয়ঙ্কর বিপদেও একজন থাকে নির্ভার কারণ সে বিশ্বাসী। বিপদ যতই বড়ো হোক একজন বিশ্বাসীর ’বিশ্বাস’ তার স্রষ্টা সর্বশক্তিমান; মহাবিপদেও তাকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখেন। কারণটা সহজেই অনুমেয় অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোন বিপদ-আপদ মানুষের উপর কখনোই আসতে পারেনা। আর এ বিশ্বাসই তার সফলতার মূলমন্ত্র। আমরা দেখতে পাই একই বিন্দুতে দুজনের বিপরীত অবস্থান। একজন বিশ্বাসী, ভয়ডরহীন; আরেকজন অবিশ্বাসী, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। আল্লাহকে যখন আমরা চর্মচক্ষুতে দেখতে সক্ষম নই তাহলে উপায়? আল্লাহকে খুঁজে পাওয়ার সহজ রাস্তা তিনি বাতলে দিয়েছেন নিজেই। কখনো কিতাবের মাধ্যমে, কখনো নবী, রাসূলগনের মাধ্যমে আবার কখনোবা অনিন্দ্য সুন্দর সৃষ্টিজগতের মাধ্যমে। প্রত্যেক সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে আল্লাহকে খুঁজে পাওয়ার অগণিত উপকরণ। সাগরে ডুব না দিয়ে আপনি যেমনি মণি, মুক্তা আহরণ করতে পারবেন না তেমনি পৃথিবীতে উদ্দেশ্যহীন ঘুরাফেরা করে, নাতিদীর্ঘ সফরের মহামূল্যবান সময়টুকু হেলায় ফেলায় নষ্ট করে, নিজের চিন্তাশক্তির সদ্ব্যবহার না করে আল্লাহকে খুঁজে পাবেন না। আল্লাহর অস্তিত্ব তালাশে তাঁরই সৃষ্টিজগতের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ২২ টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর কোরআন, হাদিস ও বিজ্ঞানের আলোকে লেখা হয়েছে ‘কেন বিশ্বাসী হবো?’ বইটি। এ বইটি পাঠের মাধ্যমে দিশেহারা নাবিক খুঁজে পাবে সঠিক পথের দিশা, স্রষ্টার অস্তিত্ব, কেটে যাবে সংশয়, অবিশ্বাস, পাকাপোক্ত হবে ঈমান; এমনটাই প্রত্যাশা।
মো. মিকাইল আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাশ করেন। ইতোমধ্যে লেখকের তিনটি গবেষণাপত্র স্বনামধন্য জার্নালে এবং দেশি-বিদেশি ম্যাগাজিনে ২২ টিরও অধিক আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে The God Allah and His Supremacy, Evincepub Publishing, India. তিনি সৃষ্টিজগতের অপার রহস্য নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন এবং তার ভাবনাগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি মনে করেন মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তিমূল যত দৃঢ় হয় সৃষ্টিকর্তার সাথে বান্দার সম্পর্ক তত মধুর হয়।