সিঙ্গাপুর ভ্রমণের গল্প নিয়ে এই বইটি। ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট সকালবেলা আমরা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে সিঙ্গাপুরের ফ্লাইটে উঠেছিলাম। সিঙ্গাপুর হচ্ছে শহরের দেশ। এই দেশে কোনো গ্রাম নাই। সিঙ্গাপুরের চারপাশে সাগর। আমাদের গাইড মুহাম্মাদ রাইস প্রথম দিন আমাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক করে সিঙ্গাপুর শহর ঘুরে দেখালো। বিশেষ করে মেরিলিওন পার্ক এবং মেরিনা বে দেখেছি দুপুরের চোখ ঝলসানো রোদে। কিন্তু মেরিলিয়ন পার্ক রাতে বেশি জমজমাট। তাই সেদিন রাতে হোটেল মেরিনা বে স্যান্ডের লাইটিং শো দেখার জন্য সিঙ্গাপুরের পাবলিক বাসে চড়ে আবার গিয়েছিলাম মেরিলিওন পার্কে। পরের দিন গিয়েছিলাম সেন্তুসা আইল্যান্ডে। ক্যাবল কারে চড়ে দেখেছি পুরো সেন্তুসা আইল্যান্ড। দেখেছি আন্ডার ওয়াটার ওয়ার্ল্ড আর মাদাম তুসাদের আজব জাদুঘর। সিঙ্গাপুরের প্রাচীন ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা হয়েছে এই জাদুঘরে। এছাড়াও পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষদের নিখুঁত মূর্তি বানিয়ে রাখা হয়েছে এখানে। বিকালের রোদে দেখছি সেন্তোসা আইল্যান্ডের বিচ। সেন্তোসা আইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় গাইড আবুল আমাদের নামিয়ে দিয়েছিলো সিঙ্গাপুরের বাঙালি পাড়ায়। এখানে সব বাঙালি। দোকানের সাইনবোর্ডও সব বাংলায়। বাঙালি পাড়ার পাশে মোস্তফা সেন্টার। পুরো মোস্তফা সেন্টার শপিং মল ঘুরে দেখেছি। তারপর রাতের খাওয়াদাওয়া করে হাঁটতে হাঁটতে ফিরে এসেছিলাম হোটেলে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইউরোপের মতো। পড়ুন সেই সিঙ্গাপুরের গল্প।