সেই থেকে শুনছি- শনিরামের ষড়যন্ত্রের পাঠশালার গল্প। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধাক সরকার বাতিলের মধ্য দিয়েই নাকি শনিরামের পাঠশালা হয়ে ওঠে মস্ত বড় শিকারী। এক খোঁচায় গায়েব করে দেয় গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রথা। জাতীয় নির্বাচন ন্যস্ত করে দলীয় সরকারের অধীনে। সেই থেকে গণতন্ত্রের বদলে রাজনীতিকে পিন্দায়- শাড়ি-চুড়ি, নাকফুল, দুল, নূপুর এবং ঘুঙ্গুর! তাই শতচেষ্টা করেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষা করা যায়নি। সেই থেকে শুনছি- প্রহসনের নির্বাচন খুলে নিয়েছে রাজনীতির জার্সি গণতন্ত্র ঠিক স্বৈরাচারী বেশে। মুক্তির চেতনা গণতন্ত্রকে দেখায় লালকার্ড বীরত্বের সঙ্গে। উদাহরণ- ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির ডামি সংসদ নির্বাচন। সেই থেকে শুনছি- নির্বাচনী ছিনিমিনি খেলার মধ্য দিয়ে এই বঙ্গে জন্ম নিয়েছে কুচকুচেকালো এক ‘শুয়োরের বাচ্চা’? মজার ব্যাপার ‘শুয়োরের বাচ্চা’ গণতন্ত্রে নির্বাচিত হতে ভোট লাগে না। তবে যাদের কল্যাণে- ‘শুয়োরের বাচ্চা’ নামক গণতন্ত্র জন্ম নিয়েছে, তাদের মুখে শোনা যায় যত নীতিবাক্য, যত বীরত্বের গল্প, যত জয়ধ্বনি। যদিও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তার নাম দিয়েছে ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র’। এটা গণতন্ত্রের ‘নয়া সংস্করণ’