গণতন্ত্র, সমাধিকার, ব্যক্তি-স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং যোগ্যতার ভিতের উপর জনগণের সামগ্রিক স্বার্থ বিবেচনায় একটি সংবিধানের রূপরেখা নিয়ে গ্রন্থ— বদলে যাবার সুযোগ "ওয়েক আপ বাংলাদেশ"। কীভাবে বদল হবে সংবিধান এবং কেন, কোথায় কী কী সমস্যা রয়েছে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সংবিধান, গণতন্ত্র, আইন, নির্বাচন ব্যবস্থা, দলীয় গণতন্ত্রায়ন, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতি, প্রশাসন ও পুলিশী ব্যবস্থা এবং বিশদভাবে অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। ১৭ কোটি মানুষ তার কাছে মোটেও কোনো সমস্যা নয়; ১৭ কোটি মানুষ তার কাছে ৩৪ কোটি শক্তিশালী হাতের একটি সম্পদ। এই মহাশক্তিধর সম্পদকে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে তিনি সে বিষয়গুলোও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এমন একটি 'বিশেষ সমাধানমূলক গ্রন্থ' তাঁর পাঠকদের দীর্ঘদিনের জোরালো দাবি ছিল! তৌফিকুল ইসলাম পিয়াস এর সমালোচনামূলক ও প্রতিবাদী লেখাগুলো ভিন্ন মাত্রা যোগ করে সবসময়ই। তিনি সরাসরি যেকোনো সমস্যার গভীরে নিয়ে যান তাঁর পাঠককে। সমস্যাগুলো নড়াচড়া করেন, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখান। তারপর তার সমাধানও বাতলে দেন। পাঠকগণ মুগ্ধ হন, পুরো লেখা শেষ না করে উঠতে পারে না কোনো একজন পাঠকও। বইটি যেকারোরই ভালো লাগবে।
নিউইয়র্ক সিটির ব্যবসায়ী তৌফিকুল ইসলাম পিয়াসের প্রথম বই 'থ্যাংক য়্যূ' প্রকাশিত হয়েছিলো ২০০০ সালে। ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাঁর প্রস্তাবিত 'ন্যাশনাল আইডি কার্ড' নিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে 'প্রথম আলো', লেখাটি দারুণ সাড়া ফেলে! শাহবাগ আন্দোলনে, ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ধারালো কিছু প্রবন্ধ লেখার কারণে পুলিশের টার্গেটে পরিণত হন তিনি; এবং ২০১৪ সালে বাধ্য হন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা ফেলে দেশ ছেড়ে আমেরিকায় চলে যেতে। ২০২০ সালে তার প্রকাশিত 'বুড়িগঙ্গা থেকে হাডসন' বইটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ লেখনী পাঠককে বরাবরই মুগ্ধ করেছে। তার লেখা গল্পগুলো দুর্দান্ত সব তথ্যমালায় সমৃদ্ধ, পাঠক ভাবতে বাধ্য হন যে, সে নিজেও এই গল্পেরই সঙ্গী! এবার তিনি হাত দিয়েছেন সংবিধান ও বাংলাদেশের সমস্যায়। ফ্যাসীবাদ সৃষ্টির সমস্যাগুলো কেন এবং কোথায় আটকে রয়েছে; এবং তার সমাধানইবা কীভাবে! তিনি তা খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করেছেন এবারের লেখা "বদলে যাবার সুযোগ : ওয়েক আপ বাংলাদেশ গ্রন্থটিতে।