জীবনের অন্তঃকরণ থেকে কিছু অনুভূতি ব্যক্তিগত হয়ে ওঠে। আচ্ছন্ন করে রাখে কবিতায়। সদ্য ফুটে থাকা ফুল। চেতনায় বাহ্যিক উপমা সংশ্লেষ করে যায়। ঘোরলাগা পংক্তি বেঁচে থাকে। নিজস্ব ঘর-আলাপ কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পাঠ ব্যবস্থায় ছড়িয়ে পড়ে পড়ুয়ার মনে মনে। এই তো বেঁচে থাকা, এই তো কবিতা। রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় দৃশ্য-উপমার নিরব-পালা রচনা করে যাচ্ছেন। একটা দাগ থেকে যাচ্ছে। একটা বিন্দু থেকে অন্য বিন্দু পর্যন্ত। একটা বৃত্তের মধ্যে থেকেও বাইরে যেতে চাইছেন কবি 'মমির মতন ঘুমিয়ে পড়ি/প্রকাণ্ড একটা ভাঙাচোরা বাসে ধোঁয়ার ভেতরে কোথাও একটা চলেছি/তুমি বললে আমার সিনেমা, কবিতায় নৈরাশ্যের মেঘ ঝুলে থাকে/আমিও ঠিক বুঝতে পারছি না বাসটা ঠিক কোথায় নিয়ে যাচ্ছে/মানুষের পৃথিবীতে কোনো কিছু নিয়েই মাথা ঘামানো উচিত নয়/কান্না বা হাহাকারের ভেতরে তবুও একটা দুটো দ্বন্দ্ব/শান্তি না লটারি?" এভাবে একতরফা পথ থেকে ভালোভাবে সরে পড়ে ভালোবাসা, যার যাত্রা মহাকালে। ওই তো মহাকাল মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিয়েছে। এখনও ভয় হয় ডিসেম্বরে বৃষ্টি দেখে। কে তুমি বৃষ্টি মেখেছো? এমন ক্লান্তি নিয়ে কবি ওঠে দাঁড়ান। অসংখ্য কবিতা ছড়িয়ে যায় ফ্যাকাশে আকাশে। মন্ত্রচৈতন্যে ভরে ওঠে। ডিসেম্বর রেন ও কবিতামাখা চুল কাব্যগ্রন্থে রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আমাদের আড্ডা প্রাণখোলা। তিনি চাইছেন আগামীর পৃথিবীতে থাকুক 'ভালোবাসার মতনই প্রখর আমার আত্মসম্মান ও ঘৃণা।'