‘জ্ঞানগম্যি (রম্য গল্পসংকলন)’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ হাসির গল্প লেখাটাই বেশীরভাগ এক্ষেত্রে যেকালে হাস্যকর অপচেষ্টা, সে-যুগে তারাপদ রায়ের ‘কাণ্ডজ্ঞান’ বা ‘বিদ্যাবুদ্ধির উত্তরোত্তর বিপুল জনপ্রিয়তা আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে যে, তারাপদ রায়ের এই সার্থকতার মধ্যে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ হাসির গল্পগুলিকেই মুখ্যত সংক্ষেপে সংকলিত করেন তারাপদ রায় তাঁর রম্য রচনাবলীতে। দেশকালের সীমানা অতিক্রমকারী এ-সব গল্প কোনও যে বিশেষ লেখকের রচনা তা নয়। সব যুগের সব রসিক মানুষের আড্ডায় এর অবস্থান। এরই পাশাপাশি তারাপদ রায় নিপুণভাবে জুড়ে দেন তাঁর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে সমধর্মী কিছু স্বাদু গল্প এবং সরস মন্তব্য। এমনই নিখুঁত সেই জোড় যে, আলাদা করে চেনাই যায় না। শুধু যা বস্তুতই চমক জাগায়, তা হল, হাসির গল্পের এমন অফুরন্ত স্টক তাঁর হল কী করে। সত্যিই তারাপদ রায়ের খোশগল্পের ভাণ্ডারটি যেন, দ্রৌপদীর শাড়ির মতই, অনিঃশেষ। ভাঁজে-ভাঁজে অফুরন্ত কৌতুক, অনাবিল হাসির ছটা। এই নতুন সংকলন আরও একবার সেকথা প্রমাণ করবে। প্রেম থেকে পুলিশ, মাতাল থেকে ভুলোমন, হোটেল থেকে রুপোলি পদার অন্তরালে, বাড়িভাড়া থেকে বিবাহবিচ্ছেদ, বোকামি থেকে উপসর্গ, কুকুর থেকে নালিশ, কৌতূহল থেকে সাবান, পোশাক থেকে আবহাওয়া, রবীন্দ্রনাথ থেকে মধুচন্দ্রিমা— এমনতর অজস্র বিচিত্র ও চেনা-অচেনা প্রসঙ্গে একের-পর-এক তুমুল হাসির গল্প ও ঘটনার সন্নিবেশে ‘জ্ঞানগম্যি’ রম্য গল্পের এক নতুন স্বর্ণখনি।
সূচীপত্র * রবীন্দ্রনাথ-৯ * বোকামি-১৩ * বাচ্চা-১৭ * যদিদং-২১ * যদিদং হৃদয়ং-২৫ * মধুচন্দ্রিমা-২৯ * কুকুর কুন্ডলী-৩৩ * পুনশ্চ কুন্ডলী-৩৭ * স্বামী-স্ত্রী-৪১ * হাজব্যান্ড-ওয়াইফ-৪৫ * হে মাতাল, অমোঘ মাতাল-৪৯ * আবার মাতাল-৫৩ * কারণ-অকারণ-৫৭ * শিশুপাল-৬১ * মনে মনে ৬৫ * ভোজনালয়-৬৯ * হোটেল-৭৩ * নালিশ-৭৭ * বাড়ি ভাড়া-৮১ * মূল্য-৮৫ * হায় ছবি-৮৯ * ও ভোলা মন-৯৩ * কেউ ভোলে না,কেউ ভোলে-৯৭ * জীবনবীমা-১০১ * দুর্ঘটনা-১০৫ * কোন্ বাণিজ্যে-১০৯ * উপসর্গ-১১৩ * কৌতূহল-১১৭ * ডাক্তারের হাতে-১২১ * অঘটন আজো ঘটে-১২৫ * সুপরামর্শ-১২৮ * ঘুম-১৩১ * ওষুধ-১৩৫ * ওষুধের বদলে-১৩৯ * যথাবিহিত-১৪৩ * পুলিশ-১৪৭ * বিবাহের চেয়ে বড়ো-১৫১ * মাতৃভাষা-১৫৫ * ভিক্ষাং দেহি-১৫৯ * ফাঁদ পাতা ভুবনে-১৬৩ * ধরা পড়েছে দুজনে-১৬৭ * কে কোথা ধরা পড়ে-১৭১ * সুগৃহিণী-১৭৫ * দৃশ্যান্তরে-১৭৯ * ভূশণ্ডির মাঠে-১৮৩ * হায় ভীরু প্রেম-১৮৭ * রূপপালি পর্দার অন্তরালে-১৯১ * বিচ্ছেদবেদনা-১৯৫ * ছিন্নপ্রেম-১৯৯ * সাবান-২০৩ * চোর-২০৭ * আবহাওয়া-২১০ * অচল আধুলি-২১৩ * পিয়ো হে পিয়ো-২১৬ * স্বর্গ হতে বিদায়-২২১ * দ্বিতীয় স্বর্গ-২২৫ * ও চাঁদা চোখের জলে-২২৯ * দাম দর-২৩৪ * পোশাক-২৩৮ * মিথ্যা কথা-২৪২ [রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জ্ঞানগম্যি’র অতিরিক্ত কয়েকটি সমজাতীয় রচনা এই বইতে দেয়া হলো। ইতস্তত প্রকাশিত ঐ লেখাগুলি যাতে হারিয়ে না যায়, তাই এই অনুপ্রবেশ।]
Tarapada Ray (Bengali: তারাপদ রায়) was a Bengali writer of poems, short stories, and essays. He is especially known for his satirical sense of humour. He was born on November 17, 1936 in Tangail, now in Bangladesh. He lived in Kolkata in the Indian state of West Bengal until his death on August 25, 2007. He had his schooling in Bangladesh where he passed his matriculation from Bindubasini High English School. In 1951, he came to Calcutta to attend college. He studied Economics in Central Calcutta College (presently Maulana Azad College). For a time he taught in a school in Habra in North 24Parganas. Apart from numerous short stories and essays (mostly satirical), he wrote many poems as well. His first collection of poems, "Tomar Pratima" was published in 1960. He also wrote several short shorties commemorating his childhood days spent in East Bengal (Bangladesh). Among his most important works are novel like Charabari Porabari and travelogue like Neel Digante Tokhon Magic. He died on 25 August 2007. He was survived by a son and his wife. He was suffering from renal failure for the last few months. He was so enthusiastic about writing, that it was reported that he even wrote several pieces from his hospital. Tarapada had close friendship with Hollywood actor Wallace Shawn and famous author Deborrah Eisenberg.