যারা বিড়ালদের আদর-ভালোবাসা দেয়, মায়ার চোখে দেখে, তারা সেই মানুষগুলোর ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে থাকে। জাপানের বিড়াল সম্পর্কিত একটা মিথ জানেন? জাপানে বিড়ালকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলা হয়। মিথ অনুযায়ী, যদি আপনি বিড়ালদের প্রতি সদয় হয়ে থাকেন, তারা একদিন সেই ভালোবাসাটাকে ফিরিয়ে দেবেই। আর যদি ভাগ্যক্রমে কোনো একটা বিশেষ বিড়ালের প্রতি আপনি ভালোবাসা দেখিয়ে থাকেন, তবে দেখা যাবে একদিন আপনি রহস্যময় এক কফিশপের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, তাও আবার কিয়োতো শহরের ঝলমলে চাঁদের আলোর নিচে। এই কফি শপটা কিন্তু মোটেও চেনাজানা কফিশপগুলোর মতো নয়। এর কোনো সঠিক স্থান নেই, নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। খেয়ালের বশে সেটা জীবনের দিশা হারিয়ে ফেলা মানুষদের সামনে এসে হাজির হয়। আরেকটা জিনিস বোধহয় বলতে ভুলে গিয়েছি। দোকানটা চালায় একদল কথা-বলা বিড়াল! ফুল-মুন কফি শপের কাস্টোমাররা বসে বসে বিড়ালদের পরিবেশন করা কেক, কফি, চা খায়। আর সেই কথা বলা বিড়ালগুলো তাদের জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন রহস্যময় উপদেশ দিয়ে থাকে, জানিয়ে দেয় সেই কাস্টোমার জীবনের কোন অংশে পথভ্রষ্ট হওয়া শুরু করেছিল। এ কফি শপের কাস্টোমাররা জীবনে চলার সঠিক পথটা হারিয়ে ফেলেছে। এই বইয়ে দেখা যাবে, একজন দুর্ভাগা স্ক্রিপ্টলেখক, প্রেমে ব্যর্থ এক অভিনেত্রী, বিভ্রান্তিতে থাকা এক হেয়ারড্রেসার আর মুখচোরা স্বভাবের এক ওয়েবসাইট ডিজাইনার- এই চারজনকে ফুল-মুন কফি শপের চারপেয়ে ওয়েটাররা তাদের প্রত্যেকের ভাগ্যে লেখা সঠিক পথে উঠিয়ে দিতে সাহায্য করছে। সুনির্দিষ্ট এই চারজনের সামনে কফিশপের উপস্থিত হওয়ার পেছনে যে অসাধারণ একটা কারণ রয়েছে...!