বাংলা কবিতা আধুনিক হয়েছে যে সব কবির মাধ্যমে- বলাবাহুল্য কাজী নজরুল ইসলাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। বিংশশতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম । একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। আমি আজ সেই মানুষটির কথা বলবো। এই যুগস্রষ্ঠা মানুষটি সম্পর্কে জানার বা জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই ছোট্ট পরিসরে। তবে পরিসর ছোট হলেও জানানোর চেষ্টা আন্তরিক। বর্ণনার ভাষা প্রাঞ্জল । সংযোজিত ছবি প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাময় । ফলে ঠিক যতটুকু জানা ও অজানার মধ্যে দূরত্ব— তা অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারবেন পাঠকবৃন্দ। এই দূরত্ব হোক না সীমাহীন। হোক না আঁটসাট, সংক্ষিপ্ত । তবুও প্রচেষ্টা ছিল যত্নের । তাই পর্যবেক্ষণ হোক নিবিড়। তাহলেই সম্ভব হবে জানা-অজানার বেড়াজাল ডিঙিয়ে যাওয়া। আর এখানেই আমার কষ্টসাধ্য পরিশ্রমের সার্থকতা। 1 বইটি লেখার সময় আমাকে নির্ভর করতে হয়েছে বিভিন্ন তথ্যের ওপর। বিশেষ করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, গুগল, উইকিপিডিয়া এবং ইন্টারনেটের বেশ কিছু স্বনামধন্য ব্লগ ও ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। নিচের ওয়েবসাইটগুলো থেকে নিতে হয়েছে পর্যাপ্ত তথ্যাবলী সাইটগুলো হলো : texscince.blogspot.com, প্রথম আলো, bd24live.com, probash-mela.com, samakal.com, jugantor.com, varunshrivastava.in, anandabazar.com, bn.quora.com, lekhaporabd.com, roar.media এবং kazinazrulislam.org। এসব বহুল পঠিত ও প্রচলিত ওয়েবসাইটগুলোর লেখা পড়ে মুগ্ধতায় ছেয়ে গেছে আমার অন্তর। এসব ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করার আন্তরিক অভিপ্রায় নিশ্চয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ওয়েবসাইটের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরগণ। এসব সাইটের লেখক ও কলাকুশলীদের প্রতি রইলো পাঠকবর্গের পক্ষ থেকে অন্তহীন শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা । ধন্যবাদ সকলকে । মেহেরুন নেছা