শেষ বিচারের দিনে আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মতের বিশাল সংখ্যা নিয়ে গর্ব করবেন। কারণ, শেষ জমানার মানুষ হয়েও এই উম্মত থাকবে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে। জান্নাতেও যাবে সবার আগে। কিন্তু উম্মতের এই বিশাল তালিকায় থাকার যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে ছিটকে পড়ার ঝুঁকিও। কী কী কারণে একজন মুসলিম সেই সুবিশাল দল থেকে বেরিয়ে যায়, নবিজি আমাদেরকে সেসব জানিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন হাদীসের বই থেকে সেই হাদীসগুলোকে একত্র করা হয়েছে এ বইতে। নাম দেওয়া হয়েছে উম্মতের তালিকায় নাম কাটা যাদের। তবে স্রেফ হাদীস উল্লেখ করেই দায় সারা হয়নি। হাদীসগুলোকে আনা হয়েছে গল্পের আকারে, কাহিনীর ভাঁজে ভাঁজে। একেকটি গল্পে একেক প্রসঙ্গের হাদীসগুলোকে একসাথে উপস্থাপন করা হয়েছে—যেন পাঠকের মনে সেসব হাদীস সহজেই গেঁথে যায়। গল্পের পরতে পরতে আছে আরও নানান প্রসঙ্গের ইঙ্গিত। সচেতন পাঠকের চোখে অনায়াসে তা ধরা পড়বে। এছাড়াও প্রতিটি গল্পের শেষেই আছে প্রাসঙ্গিক হাদীসগুলোর তালিকা—যেন এক ঝলক দেখলেই সবগুলো হাদীস মনে পড়ে যায়। আমাদের কারও নামই যেন উম্মতের তালিকা থেকে কাটা না পড়ে, সেজন্য একটি রিমাইন্ডার হয়ে থাকুক এ বই।
আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা নওগাঁ শহরে। প্রাথমিক পাঠও সেখানে। এরপর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-হাদীস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হওয়ার সুবাদে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেন এবং সেখানে পিএইচডি গবেষণারত। শিক্ষাজীবনে প্রতিটি স্তরে রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্কলার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)-এর একজন ছাত্র। খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মসজিদুল জুম’আ কমপ্লেক্স, পল্লবীতে। একইসাথে বেসরকারি টেলিকম সেবা দানের প্রতিষ্ঠান ইবিএস-এর রিলিজিয়াস ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তিন কন্যাসন্তানের জনক। এই তরুণ আলিম একজন প্রাঞ্জলভাষী দাঈ। পছন্দ করেন আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে, লিখতে এবং তরুণ ও যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক কাজ করতে।