পাকিস্তান এয়ারফোর্সের বাঙালি ডাক্তার সানজিদা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যথারীতি কর্মস্থলে যায়, রোগী দেখে। তার সহকর্মীরা একে একে গোপনে যুদ্ধে চলে যায়, কিন্তু সে কোথাও যেতে পারে না। এক রাতে জরুরি রোগী দেখার কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে, সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করে নারকীয় বিভীষিকা। সানজিদা ডাক্তারি পাস করে পাকিস্তান এয়ারফোর্সে যোগ দেয়। স্বামী, বাচ্চা ও মাকে নিয়ে তার সংসার। প্রশিক্ষণ নিতে রাওয়ালপিন্ডি গিয়ে সে জানতে পারে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা, একই দেশের অংশ হয়েও পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনার কথা। সত্তরের প্রলয়ংকরী ঝড়ে মারা গেল বাংলার ১০ লাখ মানুষ, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কোনো সাহাঘ্য এল না। তারপর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠল বাংলার মানুষ। ২৫ মার্চ শুরু হলো পাকিস্তানিদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। সানজিদা কাজে যায়, নানা রকম পরিবর্তন লক্ষ করে। এক গভীর রাতে রোগী দেখার কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্টে। কিন্তু সেখানে কোনো রোগী নেই, সানজিদা শুনতে পায় মদের গ্লাসের আওয়াজ আর তরুণীদের আর্তনাদ। সানজিদা প্রমাদ গোনে: এ কোথায় আনা হলো তাকে! কী অপেক্ষা করছে তার নিজের জন্য?