বইটির কাজ শেষ করতে পেরে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ নিয়ে বাংলাদেশে যে সকল বই প্রচলিত রয়েছে এবং আছে, সেগুলোতে আইনের নজিরকে (ঢ়ৎবপবফবহঃ) খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে লেখা হয়নি। অথচ এই আইনের অনেক কিছুই নজির দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। ফলে, আইনের ছাত্র—ছাত্রীদের উক্ত নজির সম্পর্কে অবগত হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। উদাহরণসরূপ— প্যাকটিক্যালি আমরা যা দেখি তা হল— ট্রাইব্যুনাল অভিযোগকে এফ.আই.আর হিসেবে গণ্য করার জন্য পুলিশের নিকট পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু এ বিষয়ে আইনে কিছুই বলা নেই। যারা নারী ও শিশু সংক্রান্ত মামলা নিয়মিত করেন না তাদের কাছে বিষয়টি গোলমেলে লাগাই স্বাভাবিক। কিন্ত এই বিষয়টি নজির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ১৯৪৬ সালে খড়ৎফ ঝরসড়হফং বলেছিলেন, ব্যাখ্যা দিয়ে আইনে যা নেই তা আনা উলঙ্গ অনধিকার চর্চা (ঘধশবফ ঞৎবংং—ঢ়ধংং)। কিন্তু তা সব সময় গ্রহণযোগ্য নয়, এই আইনের ক্ষেত্রে তো নয়ই। আমি চেষ্টা করেছি আইনের নজির গুলোকে সুন্দর ও স্বাবলিল ভাবে বাংলা ভাষায় আপনাদের নিকট উপস্থাপন করার। বিষয়টি খুব জটিল, তাই ভুল—ভ্রান্তি থাকা স্বাভাবিক। আশা করছি আপনারা অনিচ্ছাকৃত ভুল—ভ্রান্তিগুলো ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন এবং অনিচ্ছাকৃত ভুল—ভ্রান্তিগুলো পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে মর্মে অঙ্গীকার রইল। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক ভালো ভালো বই কিনার ও পড়ার সুযোগ হয় না। তবে ইউনিভার্সেল বুক হাউজের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ জিসান প্রদান এর সহযোগীতায় দেশীয় ও বিদেশী বিভিন্ন রেফারেন্স বুক পড়ার সুযোগ হয়েছে। এই কারণে তাহার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভবিষতে আরো ভালো ভালো কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। সকলের সহযোগীতা ব্যতীত উক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব নহে।