ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ইমদাদুল হক মিলনকে একসময় প্রেমের গল্পের লেখকই বলা হতো। লেখক জীবনের শুরু থেকে তরুণ প্রজন্মের প্রেম ভালোবাসার গল্প লিখে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন এই লেখক। তাঁর সেই জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুণ্ন। এখনও অনেক পাঠক ‘নুরজাহানের’ মতো উপন্যাস খুঁজতে এসে ইমদাদুল হক মিলনের প্রেমের গল্পের খোঁজ খবরও করেন। যাঁরা শুধুমাত্র প্রেমের গল্প পড়ে মুদ্ধ হয়ে থাকতে চান তাদের জন্য ইমদাদুল হক মিলনের ‘পঞ্চাশটি প্রেমের গল্প’ এক অসাধারণ উপহার। সূচিপত্র *মেয়েটির কোনও অপরাধ ছিল না *গোপন দুয়ার *তোমাকে ভালোবাসি *দূরে কোথায় *টেলিফোন বাজছে *প্রেমিক *ভালোবাসতাম *আজকালকার ছেলেমেয়েরা *ব্যর্থ প্রেমিক *ভালো যদি বাস সখী *দুঃখে আছি *রাণীর কাছে যাবো *বলো তারে *অনিশ্চিত *জন্ম *বলা যায় না *পাখিরা পিঞ্জরে *চাই বাবলিকে *পার্বতী *শঙ্খিনী *তুমি *ও *মৌ *যদি *কিছু দুঃখ *মন বলে *টুলটুলি *ভালোবাসার দুঃখ *দিন আমাদের *প্রেম আসছে *কোন কাননের ফুল *হে প্রেম *নষ্ট হয়ে যাই *না সজনী *মনের অসুখ *হৃদয়পুর *প্রেমিক প্রেমিকা *যে তুমি *আমি ও সেই যুবতী *পায়েলের খুকু হবে *যদি জানতে *তোমাকে আমার চাই *মিনি *আমাদের ছোটনদী *এসো ভালোবাসা *আমাদের মধুবাস *মেয়েমানুষ *সে ভালোবাসে, নাকি বাসে না *নায়ক আসেনি *ফুল বলে
১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদিনীমণ্ডল গ্রামে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম। লেখনীশক্তির পাশাপাশি তার রয়েছে নাট্যরচনায় পারদর্শিতা। বর্তমানে বাংলাদেশের মূলধারার সংবাদপত্র ‘কালের কন্ঠ’-এর সম্পাদক পদেও নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। শিশুতোষ গল্প দিয়ে সাহিত্য অঙ্গনে এ গুণী লেখকের প্রবেশ, যা প্রকাশিত হয়েছিলো ‘কিশোর বাংলা’ নামক এক পত্রিকায়। তবে পাঠকের নজরে পড়েছিলেন ‘সজনী’ নামের ছোট গল্প লিখে। খুব অল্প বয়সে তিনি লেখালেখিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ফলে তার লেখার বিষয়বস্তুতে কোনো জটিল সমীকরণের দেখা মিলতো না, পাঠককে বিমল আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমদিকে তিনি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ বিষয়গুলোকে পরিহার করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে ইমদাদুল হক মিলন এর বই সমূহ-তে মুক্তিযুদ্ধ, হাজাম সম্প্রদায়ের জীবন, প্রবাসী শ্রমিকদের দুঃখগাথা, পাটচাষী, গ্রাম বাংলার সমাজের এক নিখুঁত চিত্রও ফুটে উঠতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে লেখকের বক্তব্য, তিনি নিজেই লেখার এরকম বিপরীতধর্মী দুটি ধরন আপন করে নিয়েছেন, আর এক্ষেত্রে তার অণুপ্রেরণা ছিলেন সমরেশ বসু। ইমদাদুল হক মিলন এর বই সমগ্র-তে স্থান পেয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক নাটক এবং প্রায় দু’শো উপন্যাস। শিশুতোষ গল্প এবং ভৌতিক উপন্যাস রচনাতেও তার জুড়ি নেই। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃষ্টিশীলতার কারণে বাংলা উপন্যাস ইমদাদুল হক মিলন এর কাছে কৃতজ্ঞ। শুধু বাংলাদেশ না, পশ্চিমবঙ্গেও তার সমান জনপ্রিয়তা রয়েছে। দুই বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী তার বহুল পঠিত উপন্যাস হলো ‘নূরজাহান’। এছাড়াও ইমদাদুল হক মিলন এর উপন্যাস সমগ্র বিভিন্ন পাঠকপ্রিয় উপন্যাসে ঠাসা। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো ‘জিন্দাবাহার’, ‘নিঝুম নিশিরাতে’, ‘যাবজ্জীবন’, ‘কালাকাল’, ‘কালো ঘোড়া’, ‘ভূমিপুত্র’, ‘পরাধীনতা’, ‘কে’, ‘তাহারা’, ‘ভূতের নাম রমাকান্ত কামার’ ইত্যাদি। দেশি-বিদেশি নানা সম্মানজনক পুরস্কারের পাশাপাশি ২০১৯ সালে তিনি একুশে পদক পান।