এতটা জায়গা জুড়ে তোমার কথা প্রায় নেই বললেই চলে। এতদিন কীসব হিজিবিজি রং দিয়ে জায়গা ভরাট করলাম। কোথাও কোনো ফাঁক নেই তবুও যা বলেছি সব শুকনো দিনের কথা। অথচ এক বৃষ্টিদিনেই মনে হয়েছিল বাড়িটা যেন অতিরিক্ত। শুরুতেই নিজেকে বন্দী করে ফেলে পরে আবার ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা। তোমাকেই তো প্রথম বলেছিলাম, বেরিয়ে পড়তে আমরা শিখিনি — ‘মাটি মাটিতেই মিশে, জীবন জীবনের বাঁধনে / বাঁধতে বাঁধতে ছিঁড়তে ছিঁড়তে ছায়া নামে/চিন্তায় চিন্তায় গড়িয়েই পড়ে কালবেলা/শুুধু হইনি অন্তর্দেশের ততটুকু, যতটুকু জানাশোনা।” সবকিছুতেই ধরে থাকা আমাদের স্বভাব। আজ যখন লাল রং—টার দিকে বেশি বেশি করে তাকিয়ে আছি তখন মনে পড়ছে সবজায়গায় যে তোমাকে ডেকেছি এমন তো নয়! অথচ ক্লান্ত হলে হাতটা যখন পথের ধুলোয় শুইয়ে দিয়েছি তখনও মনে হয়েছে, এইতো এমন গভীর করে কাকে আর কাছে টেনেছি — ‘সেইখানে তুমি ডানহাতের ওপর বামহাত রেখে/পেছনে সবুজ আরও সবুজতর করে/কী—যে মিষ্টিলুকে রয়েছ মনকেড়ে দাঁড়িয়ে/ঠিক যেন পুতুলের রূপমূর্তি ; প্রেম প্রজন্মের জ্ঞাতি/তোমার নামে আকিকা দিয়ে—ই রেখে দিতে চাই/তোমার নাম পুতুল—প্রজাপতি/ওগো মেঘনার মেয়ে।’ এই যে দুপুরের ভেতর ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকি— তাকেই ডেকে বলেছি শুধু তোমার কাছেই আমার সবটুকু ফেলে রেখে যাওয়া— ‘এক চিলতে রোদের কী যে দরদ, কী যে মায়া,/আলতো স্পর্শে এসে ছুঁয়ে দেবে তোমার ঝুলবারান্দা/ওগো মেঘনার মেয়ে তুমি বেখেয়ালি মনে গাইবে/জল ও জোছনার গান— বেদনার কবিতা শুনবে।’ গোলাম রববানী—র সঙ্গে আমার বন্ধুতার শুরু ফেসবুক থেকে। ‘বুনন’ থেকে প্রকাশিত ‘মেঘনার মেয়ে’ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রথম কাব্যগ্রন্থে কবি যে কবিতাগুলি আমাদের উপহার দিয়েছেন তা পাঠের মধ্যে দিয়ে আমরা একটা নির্মল আনন্দ উপভোগ করি। শুধু তাই নয় মন যেন প্রেমের সৌরভে গুনগুন করে ওঠে। পাশাপাশি রোদ জল মাটির গন্ধকেও আমরা অনুভব করি।