-বর্তমানে আমরা যে যুগে বাস করছি তা ধোঁকা ও প্রতারণার যুগ। সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে ও মিথ্যাকে সত্য সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এ যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। অতীতে খারাপ ও অশ্লীল বিষয়সমূহ সমাজে খারাপ হিসেবেই পরিচিত ও স্বীকৃত ছিল, সকলে সেগুলোকে খারাপ বলেই জানত। কিন্তু বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো-খারাপ, অশ্লীল ও নোংড়া বিষয়সমূহ প্রচার করা হচ্ছে চিত্তাকর্ষক স্লোগান, আকর্ষণীয় শিরোনাম ও হৃদয়জুড়ানো পরিভাষার মোড়কে। অশ্লীলতার এই সয়লাবকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়ে আরো বেশি সহজ ও উৎসাহব্যঞ্জক করে তোলা হচ্ছে। মানুষকে বোঝানোই মুশকিল হয়ে পড়ছে যে, এগুলো খারাপ।... হিউম্যান রাইটস চার্টার বা মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের অবস্থাও ঠিক অনুরূপ-ভুল ধারণা ও বিপজ্জনক দৃষ্টিভঙ্গিগুলোকে সহজ-সরল ও সাদাসিধে শিরোনামে মুড়িয়ে মানুষের মন-মস্তিষ্কে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে। 'স্বাধীনতা', 'সমতা', 'মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা' ইত্যাদি প্রলুব্ধকর শব্দের আড়ালে মানুষের ইমান বিধ্বংসের পায়তারা চালানো হচ্ছে। বুঝে না বুঝে ধর্মপ্রাণ অনেক মুসলমান তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। হিউম্যান রাইটস চার্টার কিভাবে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে? চার্টারের ধারক-বাহকরা কিভাবে এটিকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছে? এ সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা প্রদানের জন্য চেতনা প্রকাশন থেকে -হিউম্যান রাইটস চার্টার: ইতিহাস ও শরয়ি বিশ্লেষণ নামে একটি বই প্রকাশ পেয়েছে।