মহাকাশচারীর কাছে গ্রিশকা পৃথিবী নামে গ্রহে একটা দেশ আছে, সেই দেশে আছে এক শহর, সেই শহরে বাস করত এক ছেলে- নাম তার গ্রিশকা। সে ছিল দূরন্ত আর মারপিটে ওস্তাদ। গ্রিশকা যে শহরে বাস করত সেই একই শহরে, একই রাস্তার ওপর বাস করত এক মহাকাশচারী। সব মহাকাশচারীর মতো সেও ছিল ভালোমানুষ। “মহাকাশচারী সব করতে পারে,’ এই ভেবে গ্রিশকা গেল মহাকাশচারীর কাছে। গ্রিশকাকে মহাকাশচারী তার অফিস-কামরায় এনে আরামের চেয়ারে বসতে দিল, জিজ্ঞেস করল : ‘আমার কাছে কী মনে করে, গ্রিশকা? ‘অন্য একটা কাজে এসেছি আমি,’ সাহসে ভর করে বিড়বিড় করে বলল সে। “লোকে বলে যে আপনি নাকি সব করতে পারেন। এটা কি সত্যি?” ‘সত্যি,’ মহাকাশচারী জবাব দিল। ‘তাহলে আমাকে পালোয়ান করে দিন,’ খুশি হয়ে বলল গ্রিশকা। ‘এমন পালোয়ান করে দিন যেন... যেন দস্তুরমতো সাঙ্ঘাতিক হতে পারি!’ ‘ভালো কথা। আমি তোমাকে সাহায্য করব,’ রাজী হয়ে বলল মহাকাশচারী। ‘কিন্তু আমাকে বল দেখি সাঙ্ঘাতিক রকমের পালোয়ান হওয়ার এমন সাধ হল কেন তোমার?’ গ্রিশকার এত আনন্দ হল যে সে বিশ্বাসই করতে পারছিল না। সে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটল মহাকাশ বিমানঘাঁটিতে, তার কেবলই ভয় হচ্ছিল এই বুঝি মহাকাশচারী তার মত পালটে ফেলে, পাস্টা কেড়ে নেয়, শধু তা-ই নয়, দূরন্তপনার জন্য তাকে কষে গালাগালও দিয়ে বসতে পারে! কিন্তু না, পথে গ্রিশকাকে কেউ পিছু, ডাকল না, তাছাড়া মহাকাশ বিমানঘাঁটির কর্মচারীরা তাকে খুব খাতির করল। তারা গ্রিশকাকে মহাকাশযাত্রার পোশাক পরতে সাহায্য করল, তাকে মহাকাশযানে বসিয়ে দিল এবং যেমন চল আছে সেই মতো ভালোয় ভালোয় প্রত্যাবর্তন ও নিরাপদ অবতরণ কামনা করল।