ধরুন, এমন একটি অঞ্চল আছে যেখানে আগে থেকেই রাজনৈতিক টানাপোড়ন বা অস্থিরতা রয়েছে। সেই অঞ্চলে যদি এমন একজন নেতার অনুপস্থিতি দেখা দেয়, যিনি এতদিন সেখানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করছিলেন, তাহলে হঠাৎ করে তার অনুপস্থিতিতে সেখানে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে হাসিনার কথা ভাবুন। এতদিন বেশ দীর্ঘ সময় ধরে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো ছিল, এটা তাদেরই সাংসদ মিডিয়াতে স্বীকারও করেছেন। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এতে করে সেভেন সিস্টার্স এলাকায় ভারতের জন্য নতুন নিরাপত্তা সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এমনকি পারস্পরিক আস্থার সংকটও তৈরি হতে পারে। হতে পারে ভারত এই সেভেন সিস্টার্স থেকে নিয়ন্ত্রণও হারাতে পারে। “সেভেন সিস্টার্স উইদআউট শেখ হাসিনা” বইটি এ বিষয়টিকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রভাবশালী নেতা হাসিনার নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে তৈরি সম্পর্কের জটিলতাগুলো, নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ, এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা যে কতটা তার উপর নির্ভরশীল—এই বইটি তারই বিশদ বর্ণনা দিয়েছে। পতিত স্বৈরাচারকেও এই দেশটিই আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের আর কোনোভাবেই বুঝতে বাকি নেই যে, ভারতই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু, আর এটা এখন আমরা বাংলাদেশের সকল সচেতন নাগরিকরা বিশ্বাসও করি। সেই বিশ্বাসের দায়বদ্ধতা থেকেই প্রকাশ হলো, “সেভেন সিস্টার্স উইদআউট শেখ হাসিনা” বইটি। কারন আমরা মনে করি বইটি বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের পড়া উচিৎ। আর জানা উচিৎ এই পতিত স্বৈরাচার হাসিনা কীভাবে দেশটাকে ভারতের উদ্দেশ্য হাসিলের কারখানা বানিয়ে ফেলেছিল।