মোঃ নূরে আলম চৌধুরীর ৬৪টি কবিতা। ভাব ও গঠনের দিক থেকে কবিতা অনেক রকম। নূরে আলম চৌধুরী’র কাব্যগ্রন্থে তেমনই বিচিত্রবিধ কবিতা আছে। আছে শিশুতোষ ছড়া, আছে বড়োদের কবিতা। নিবিড় প্রেমের কবিতা যেমন আছে তেমনই সামাজিক অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ কবিতাও আছে। আছে অন্ত্যমিলযুক্ত কবিতা এবং গদ্য কবিতা। প্রকৃতি-বন্দনাও নূরে আলম চৌধুরীর কবিতা’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সমসাময়িক প্রসঙ্গ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনা, দুর্ঘটনাও তাঁর ছড়া-কবিতায় পাখা বিস্তার করেছে প্রাসঙ্গিকভাবে। খুব সহজ সরল ভাষায় তিনি মনের আবেগ কবিতায় প্রকাশ করেন। ভাবের দিক থেকে তাঁর কবিতার মানবিক ও মনুষ্যত্ববোধের ধারক। নিষ্কুলষ প্রেম, মানবিক ভালোবাসা, প্রকৃতির নিবিড় ছায়া, মানবতার সুবাতাস, মুক্তবুদ্ধির প্রকাশ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা নূরের কবিতার ছত্রে ছত্রে প্রকাশিত। তবে এতোসব গুণাবলির মধ্যে কোনেকোনো কবিতায় মাত্রাতিরিক্ত সরলতা ও ছন্দসৈথিল্য তাঁর কবিতা ও ছড়ার মান কিঞ্চিত ক্ষুন্ন করেছে। প্রকাশভঙ্গির অতি সারল্য শিল্পমান রহিত করে। সহজ প্রকাশভঙ্গি ও শব্দসারল্য তাঁর কবিতার প্রধান গুণ ও দোষ। আশা করি ভুলগুলো অচিরেই ফুল হয়ে ফুটবে। কাব্যশিল্পের ভূবনে নূরে আলম চৌধুরীকে স্বাগত জানাই। সবশেষ কামনা করি,রবীন্দ্রবাণী তাঁর কাব্যজীবনে প্রতিফলিত হোক: ‘অন্তর হতে আহরি বচন/আনন্দলোকে করি বিচরণ/গীতরসধারা করি সিঞ্চন/সংসার ধূলিমাঝে।’