بسم الله الرحمنِ الرَّحِيمِ الحمدُ للهِ الْعَلِيمِ، وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدِنِ الْكَرِيمِ وَعَلَى آلِهِ الْمُطَهَّرِينَ وَأَصْحَابِهِ الْمُكَرَّمِينَ وَعَلَى كُلِّ مَنِ اتَّبَعَهُمْ بِإِحْسَانٍ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ اللهم أرنا الحق حَقًّا وَارْزُقْنَا اتَّبَاعَهُ وَأَرِنَا الْبَاطِلَ بَاطِلاً وَارْزُقْنَا اجْتِنَابَهُ رَبِّ يَسْرُ وَلَا تُعَسر و تمم بالخير ، يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السميعُ الْعَلِيمُ أَمِين يَا رَبُّ الْعَلَمِينَ ইসলাম পূর্ব জ্ঞানচর্চা ইসলাম আগমনের পূর্বে এই পৃথিবী অজ্ঞতা ও মূর্খতার চাদরে ঢাকা ছিল। মানব সভ্যতা ছিল জ্ঞানের আলো থেকে সম্পূর্ণ বে-খবর, শত-সহস্র মাইল দূরে। কিছু কিছু স্থানে যথা: ইউনান, ইরান এবং পূর্ব হিন্দুস্থানে যদিওবা স্বল্প পরিসরে জ্ঞানের চর্চা হতো, তবে তাতেও মিথ্যা, কুসংস্কার ও পৌরাণিক কাহিনি ইত্যাদির ছাপ ছিল ব্যাপকহারে। পূর্ববর্তী ধর্মসমূহের জ্ঞান ও শিক্ষার একচেটিয়া অধিকার ভোগ করতেন পুরোহিত, জাদুকর, গণক, সন্ন্যাসী, প্রোটন ও পণ্ডিতরা। জনসাধারণ জ্ঞান ও মারেফাত, ইলম ও বিজ্ঞানের আলো থেকে ছিল সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত। ঈসায়ি ষষ্ঠ শতাব্দীতে যখন আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে রিসালাতে মুহাম্মদির সূর্য উদিত হয়, তখন নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াত পৃথিবীকে নতুন আসমানি কিতাব দ্বারা সম্মানিত করল। নতুন ইলম ও জ্ঞানের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিল। নতুন আগ্রহ-উদ্দীপনা ও দূরদর্শিতা দান করল। সর্বোপরি জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আলো দ্বারা পুরো পৃথিবীকে আলোকিত করে দিল।