প্রকৃতির রূপান্তর স্রস্টার এক অন্যতম সৃষ্টিশৈলী। মানুষের জীবন-মৃত্যু, সমস্যা-সম্ভাবনা ও প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে না থাকলেও জীবনকে সফল ও স্বার্থক করে তোলার চাবি কিন্তু মানুষের হাতেই। আর তাই নিজেকে জীব থেকে মানুষে রূপান্তরের মাধ্যমে সফল ও স্বার্থক করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন পরিবর্তনশীল, ব্যতিক্রমধর্মী, সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ একটি ক্ষেত্র বা পরিবেশ। ব্যক্তিগতভাবে যেমন নিজেকে সঠিকভাবে পরিবর্তন বা রূপান্তর প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবেও। আমাদের বর্তমান শিক্ষা-সংস্কৃতির ভঙ্গুর অবস্থা, লাগামহীন দুর্নীতি, অপরিকল্পিত অর্থায়ন ব্যবস্থা, দায়িত্বহীনতা, ভিশনারী নেতৃত্বের অভাব ইত্যাদির কারণে দেশ আজকে পতিত হয়েছে চরম সংকটাপন্ন অবস্থায়। এ অবস্থা থেকে দেশকে নতুন করে সাজানোর জন্য আমরা কি সঠিক দায়িত্ব পালন করছি? নাকি ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে, নির্দিষ্ট একটি পক্ষকে দোষারোপ করে নিজেদের দায়মুক্তির পথ খুঁজছি? আমরা আজকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে সফলতার বীজ বপন না করেই, ভবিষ্যতে সমৃদ্ধিনামক সবুজ ফসলের অলীক স্বপ্ন দেখে যাচ্ছি। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে হলে প্রয়োজন ভিশনারী নেতৃত্ব, মৌলিক শিক্ষার ভিত্তিমূল রচনা, সামাজিক মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা, সুস্বাস্থ্য নির্মাণ, কর্মোদ্যম উদ্যোক্তা মানসিকতা অর্জন ও সৃজনশীলতা। যা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে ‘গোল্ডেন সোসাইটি’। তারই অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে ‘রূপান্তর’ সাময়িকী। যার প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘সোনার মানুষ, সোনার দেশ, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’।