প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 28 Dec 2024 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
একটি প্রতিষ্ঠানে আপনি চাকরি করছেন। কত স্বপ্ন নিয়েই না আপনি এ সংস্থায় যোগদান করেছেন; আর সেসব স্বপ্ন অলীক কল্পনার মতো চোখের জলে জলাঞ্জলী দেয়ার মতোই দশা আপনার! কারণ অন্য কিছুই নয়, আপনার বস বা উর্ধ্বতন হলেন বদের হাড্ডি, অন্যভাবে যাকে বলে ‘পাজির পা ঝাড়া’ একখান! এমন বসের সঙ্গে আদৌ কি থাকতে পারবেন? নাহ, কাভি নেহি। আসলে এমন দুষ্টু, ধূর্ত বসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আপনারও হওয়া উচিত দুষ্টু বা ধূর্ত, তাই নয় কি? প্রশ্নের উত্তর হলো : ঠিক এবং বেঠিক। দুষ্টু ঘরানার বা ধূর্ত প্রকৃতির আপনি হবেন না ঠিগ হ্যায়, তবে অতি অবশ্যি আপনাকে হতে হবে কৌশলী এমন বসকে শক্ত হাতে মোকাবিলার জন্য। আর এমন চমৎকার এক ধারণা নিয়ে চমৎকার একজন লেখক রায় লিলি রচনা করেছেন, ‘ডিলিং উইথ ডিফিকাল্ট পিপল’। ২৪টি অধ্যায় নিয়ে এ নন-ফিকশন বইটি রচনা করা হয়েছে: মানব সম্প্রদায় সম্পর্ক বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত কোর্স, সাতটি শাস্ত্রীয় কঠিন পথের একটি ত্বরিত পথনির্দেশিকা- অথবা এক কাপ কফি পান করার সময়ও একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেখানো, বিবাদের একটি দ্রুত পদ্ধতির দিকনির্দেশনা এবং কীভাবে তা সামলাতে হয়, বসের সঙ্গে মানিয়ে চলুন যে আপনাকে পাগল করে দিচ্ছে, সহকর্মীদের কণ্ঠরোধ করা, কর্মী শ্বাসরুদ্ধ করে মারা, দাম্ভিককে তৈলমর্দন, নাকে না ঠুকে আক্রমণাত্মক মানুষদের পরিচালনা করা, অলসদের অধীনে বোমা রাখা, উৎপীড়নকারীদের তাদের নিজস্ব খেলায় পরাজিত করা এবং বাকি আরও পাক্কা চৌদ্দটি অধ্যায়সহ সুলেখক রায় লিলি লিখেছেন অসাধারণ বইটি। তথ্য-উপাত্তের অপূর্ব মিশেলে গড়ে উঠেছে এ অতুলনীয় নন-ফিকশন বইটি। প্রাতিষ্ঠানিক কিছু কিছু টার্ম সম্পর্কে আমরা জানি, আবার অনেক টার্ম সম্পর্কে একদমই অবগত নই। যেমন ধরুন, ক্লক-ওয়াচার; কী এর মানে? একটি প্রতিষ্ঠানে যদি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস হয়, সেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী বা কর্মকর্তা যখন প্রতিদিন ঠিক পাঁচটা বাজলেই বেরিয়ে পড়েন অফিস থেকে তাকে বলা হয় ক্লক-ওয়াচার (Clock-watcher)। তবে পাঠক, আর দেরি কেন? প্রতিষ্ঠান-কর্মী-বস নিয়ে এমন তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ অতুল নন-ফিকশন বইয়ের জগতে আপনাকে স্বাগত জানাই।