আশুরায়ে জিলহজের ফজিলত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার জন্য আশুরায়ে জিলহজ থেকে উওম কোনো দিন নেই। তাতে একদিনের রোজা এক বছরের সমান এবং একরাত ইবাদত করা শবে কদরের ইবাদত করার মতো। (তিরমিজি: হাদিস নং ৬৮৯, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১৭১৮) কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা সুরা ফাজরে দশটি রাতের কসম খেয়েছেন। ওই দশটি রাতের মধ্যে জমহুর ওলামায়ে কেরামের নিকট আশুরায়ে জিলহজের রাত রয়েছে। বিশেষভাবে ৯ তারিখ অর্থাৎ, আরাফার দিন এবং আরাফা ও ঈদের মধ্যরাতের আমলগুলোর বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আরাফা অর্থাৎ ৯ তারিখে রোজা রাখার সাওয়াব হলো, আগামী বছরের সামনে-পেছনের কাফফারা এবং ঈদের রাতে জেগে ইবাদতে মশগুল থাকা অনেক বেশি ফজিলত এবং সাওয়াবের কাজ। নোট: মুস্তাহাব হলো- জিলহজের চাঁদ দেখার পর ঈদের নামাজ ও কুরবানী করা। কুরবানী করবে এমন ব্যক্তি চুল এবং নখ কাটবে না। হাদিসে আছে- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কুরবানী করার নিয়ত রাখে- সে যেন নিজের চুল ও নখ না কাটে। (মুসলিম: হাদিস নং ৩৬৫৪ তিরমিজি: হাদিস নং ১৪৪৩, নাসাঈ হাদিস নং ৪২৮৫, আবু দাউদ: হাদিস নং ২৪০৯, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ৩১৪১, মুসনাদে আহমাদ: হাদিস নং ২৫২৬৯, দারেমি হাদিস নং ১৮৬৫)