প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 28 Dec 2024 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেখানে মানুষ আনন্দের পেছনে ছোটে, যেখানে মোবাইল ফোনের একটি মেডিটেশন অ্যাপ আপনাকে গভীরভাবে নিঃশ^াস নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যেখানে আঁটসাঁট মোড়কে পাওয়া যায় খোসা ছড়ানো কমলা (কারণ খোসা ছড়ানোর সময় আমার নেই! আমি খুব ব্যস্ত!) এসব কারণে বর্তমানে অলসতা ও ধীরস্থিরতার প্রতি আমাদের যে নিষেধাজ্ঞা তা ছাড়িয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঢিলেমি আমাদেরকে অসংখ্য সুবিধা প্রদান করে। বর্তমান সময়টা অলসতা নিয়ে নতুনভাবে ভাবার সময়, অলসতাকে পুনর্ব্যবহার করার সময়, নিজের সময়গুলো ফিরে পাওয়ার সময় এবং বিছানায় শুয়ে থেকে জীবনের ইঁদুর দৌড়ের প্রতি আপত্তি প্রকাশের সময়।
আর এমন ঢিলেমির মাস্কট বা প্রতীক হিসেবে চমৎকার ও মিষ্ট প্রাণী শ্লথের থেকে অধিকতর ভালো কিছু কি আর হয়?
লম্বা লম্বা হাত পা, দুই অথবা তিন আঙুল, দুটি সুন্দরভাবে বিস্তৃত চোখ আর কিছুটা রোমশ শরীরের শ্লথ পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান ও আকর্ষণীয় (এবং অন্যতম অলস) প্রাণী। অ্যামাজন জঙ্গলে বসবাসকারী শ্লথ কেবল মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার রেইনফরেস্টের জন্য আবশ্যক প্রাণী-ই নয় বরং আমরা মানুষ হিসেবে যে জীবনটি যাপন করছি এখানেও তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে।
শ্লথরা যে কোনো কাজ খুব মনোযোগ দিয়ে করে। তারা ভাবুক, সুচিন্তিত, নিরুদ্বেগ এবং দারুণভাবে মনোযোগী প্রাণী। তারা রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে ফিটনেস ট্র্যাকার অনুযায়ী তারা কতটুকু হাঁটলো তা নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। তারা প্রকৃতপক্ষে কোনো বিষয়েই চাপ ও উদ্বেগে থাকে না। আড়ালে বাস করো আর যখন মৃত্যু আসে তখন মরো- এটাই শ্লথদের জীবনের নীতিবাক্য। তারা বিস্ময়কর প্রাণী। উৎপাদনশীল হওয়ার যে আকাক্সক্ষা তা তারা দমন করে এবং আরো সফল হওয়ার যে সামাজিক চাপ তাও তারা পরিহার করে চলে। তারা এই পৃথিবীতে দশ মিলিয়ন বছর ধরে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখছে। এই সুদীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকাই তাদের জীবন যাপনের প্রজ্ঞাপূর্ণ রীতিনীতির প্রমাণ। তাই না? তারা অবশ্যই এমনকিছু করছে যা আদতে সঠিক।
আপনিও শ্লথের মতো নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করতে পারেন। সেজন্য আপনাকে শ্লথের দর্শন বা শ্লথ ফিলোসফি সাগ্রহে গ্রহণ করতে হবে। শ্লথরা যেভাবে বসবাস করে তা খুবই সাধারণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। তাদের মতো জীবন যাপন করতে আমাদেরও বেশি কিছু পরিহার করতে হবে না। এমনকি আপনি জেনে খুশি হবেন যে শ্লথের আদর্শ অনুসরণে জীবন যাপন করতে আপনার খুব কম প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। আর এটাই শ্লথ ফিলোসোফি বা শ্লথের দর্শনের মূল বিষয়।