-ওই সব কিছুই না, বিয়ে হলো একটা বংশগত রোগ, যারাই বিয়ে করছে দেখবে তাদের বাপ-মা, দাদা-দাদি সবাই বিবাহিত, তাই তোমরাও বিয়ে করছো। বলে এবার এতক্ষণে নন্দিনীও হাসতে লাগলো।
নিহা ফুস করে একটা শ্বাস ফেলে বলল, - আগামী শতাব্দীতে প্রচুর পাত্র-পাত্রী থাকবে যাদের বাবা-মা কখনোই বিবাহিত থাকবে না।
এমনকি জানবেও না কে বাপ বা কে মা, হয়তোবা একজনকেই দেখবে সারাজীবন। অপরজন কেবল 'ডোনার' এবং অদৃশ্য। - হ্যা অদ্ভুত এক পৃথিবীর দিকে ছুটে চলেছি আমরা।
নিহা কাগজের টুকরোটার দিকে চেয়ে হাসতে হাসতে বললো, আচ্ছা আমার হয়েছেটা কী বলতে পারিস, তুই কাগজে লিখেছিস 'কাজী আসিফ', আমি কেন বারে বারে ভুল পড়ছি 'কাজী অফিস'? মনে হচ্ছে, আমার চশমার পাওয়ার চেঞ্জ করতে হবে, গন্ডগোল হয়েছে কোথাও।
নন্দিনী উত্তর না দিয়ে হাসতে থাকে। নিহা বলে হাসিস কেন, কি হয়েছে হাসার মতন?
বিয়ে লাগলে এই সব হয়। সর্বত্র কাজী দেখবি। পাজি কোথাকার দেখবি। মজার মজার স্বপ্নও দেখবি ঘুমায়ে বা জেগে জেগে। এখনতো তোর-ই সময় রে পাগলী। মাতাল হাওয়ায় চুল ছেড়ে উড়াল দেয়। ওই সময় আমরাও পার করে এসেছি। সর্ষে ফুলও দেখবি আবার গোলাপি আলাপী থনাপি ফুলও। জীবন মনে হবে রঙ্গিলা। রং দেয় বাসন্তী, বলে দেখবি সকাল বিকাল ওই সাঈদ হাক ছেড়ে গান গাইছে।