অত্র পুস্তকে বাংলাদেশসহ বিশ্বময় দাপিয়ে বেড়ানো ড্রাগস-মাফিয়াদের মুখোশ উন্মোচনের প্রয়াস দেখিয়া ভাবিবার কোনো কারণ নাই যে, আমি ডাক্তার বা ড্রাগস বিশেষজ্ঞ! প্রকৃতপক্ষে এই ধরণীর ওপরে যিনি একখানা দেহের মালিক, তাঁহারই অধিকার রহিয়াছে দেহটাকে সুস্থ রাখিবার কায়দা-কৌশল নিয়ে স্বচিন্তিত মতামত পেশ করিবার। তাছাড়া রোগী তথা সেবা-গ্রহীতা হিসেবে ক্রেতা/গ্রাহকেরও নিশ্চয় অধিকার জন্মে গৃহীত সেবা সম্পর্কে অভিমত প্রকাশের। এই বইয়ে যুক্তি ও তথ্য-প্রমাণ সহকারে সেই প্রয়াসই চালানো হইয়াছে মাত্র।
যাঁহারা কৌতুহলবশত লেখক পরিচিতিতে চোখ বুলাইতেছেন, তাঁহাদের অবগতির জন্য জানাই- অভাজনের যোগ্যতা বিশেষ কিছু নহে, তবে জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী অতিবাহিত করিবার পূর্বেই লক্ষাধিক মানুষের সংস্পর্শে আসিয়া তাঁহাদের ভালো গুণাবলি হইতে যথাসাধ্য অনুসরণ ও অনুকরণের চেষ্টা করিতেছি, হাজার দুয়েক পুস্তক পড়িয়াছি, শতাধিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করিয়াছি, সুযোগ পাইলে অন্তর্জালেও গুণগত সময় বিনিয়োগ করি, অদ্যাবধি ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-মধ্যপ্রাচ্যের ২৬টি দেশ ভ্রমণ করিয়াছি (মিসরের পিরামিডের ভেতরে মমি রাখার গুহা থেকে আইফেল টাওয়ারের চূড়া, স্ট্যাচু অব লিবার্টির ভেতরে মুকুট অবধি ঢোকা, লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ, পবিত্র ক্বাবাশরীফ কিছুই স্বচক্ষে দেখা বাদ রাখি নাই) আর পবিত্র কোরআন, হাদিস বাংলায় পাঠ করিয়া অনুধাবণ ও মানিয়া চলিবার চেষ্টা করিতেছি।
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র! জীবনের রজত জয়ন্তী স্পর্শ করিবার ক্ষণে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অর্জন করিলেও অদ্যাবধি দুইটি মূল সনদপত্র দর্শন-লাভের হয়নি (এতো বছরে নিশ্চয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য হিসেবে কেজি দরে বিক্রি হইয়া অথবা পুড়াইয়া ফেলা হইয়াছে)!
জীবন ঘনিষ্ঠ বহুমাত্রিক লেখক রাজিব আহমেদ বাংলা মননশীল সাহিত্যকে ক্রমেই সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫০ অতিক্রম করে গেছে। বাংলাদেশে আত্মোন্নয়নমূলক অভিনন্দন লাভ করেছেন। রাজিব আহমেদ চারটি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানিতে (রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার, বাংলালিংক ও রবি) দশ বছরের কর্মজীবন থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে এখন মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তা; জয় করে চলেছেন অসংখ্য বিক্রয় পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও দর্শক শ্রোতার হৃদয়। লেখালেখি তার নেশা আর ভালোবাসেন দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে।