২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ হাঁটছে বৈষম্যহীন সমাজের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। এ জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান সংশোধনের প্রশ্ন। সংস্কারের পেছনের বাধাগুলো কী এবং কোন প্রক্রিয়ায় এ থেকে উত্তরণ সম্ভব, রাষ্ট্র ও সংবিধানের অন্তঃসম্পর্কগুলোর স্বরূপ কেমন—সর্বোপরি রাষ্ট্রকাঠামোর ভিতর-বাহির খতিয়ে দেখা হয়েছে এ বইয়ে।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটেছে। প্রবল হয়েছে জনগণের বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। এ জন্য রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান সংশোধন খুবই জরুরি। কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় এ সংস্কার করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত সামনে রেখে এ বইয়ে রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান সংশোধন নিয়ে সুচিন্তিত পর্যালোচনা ও প্রস্তাব করা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে যত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি নজর দেওয়া হয়েছে এসব প্রস্তাবের সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রগুলোর দিকে। একই সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে এসব প্রস্তাবের পক্ষ-বিপক্ষের যুক্তি। প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর জন্য সংবিধানে কী ধরনের সংশোধনী প্রয়োজন কিংবা সংবিধান পুনর্লিখন বা নতুন করে লেখার প্রয়োজন রয়েছে কি না, নির্বাচনব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত—এসব বিষয় নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকাঠামোর সংকটগুলো কী এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে—এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এ বইয়ে।
Title
স্বৈরতন্ত্র প্রতিরোধের পথ: রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান সংশোধন
বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশবিদ। মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড, এমোরি ও সেন্ট জোন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। অর্থনীতির বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও পরিবেশ নিয়েও তিনি দীর্ঘকাল ধরে গবেষণা করছেন। এসব বিষয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্েথর মধ্যে রয়েছে জাসদের রাজনীতি (১৯৮১), বাংলাদেশের উন্নয়ন কৌশল প্রসঙ্গ (১৯৮৪), বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যা (১৯৮৭), আগামী দিনের বাংলাদেশ (২০১২), বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন (২০২৩) এবং আগামী বাংলাদেশের দশ করণীয় (২০২৪)। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গঠনের উদ্যোক্তা ও সহসভাপতি।