আমাদের ইউনিভার্সিটি এবং ইন্ড্রাস্ট্রি বা জব মার্কেট দুইটার মাঝে একটা গ্যাপ রয়েছে। আমরা সার্টিফিকেট পেয়ে জবের জন্য যখন এপ্লাই করতে থাকি, ইন্টারভিউ বোর্ডে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারি আমরা আসলে জবের জন্য তেমন প্রিপেয়ার না। আমার রিজিউম ঠিক নেই, আমার কোন ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ নেই, ইন্টারভিউ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই- হুট করেই সমুদ্রে পড়ার মত দশা হয়ে যায়।
আমি কীভাবে আমার সাথে সুইটেবল এবং আমার জন্য ফিট ক্যারিয়ার পাথ ঠিক করবো, সে অনুযায়ী কীভাবে আমার ক্যারিয়ার প্ল্যান করবো, কীভাবে প্রিপারেশন নিব, কীভাবে জব সার্চ করবো, কীভাবে সিভি বানাবো, কীভাবে কভার লেটার লিখবো, কীভাবে আমার নেটওয়ার্ক তৈরী করবো, কীভাবে সেলফ ব্র্যান্ডিং করবো, কীভাবে রিক্রুটার মাইন্ডসেট বুঝবো, কীভাবে ইন্টারভিউয়ের প্রিপারেশন নিব, এবং একজন ফ্রেশার হিসেবে কর্ম পরিবেশ কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিব এবং উত্তোত্তর নিজের উন্নতি ধরে রাখবো, এই যাবতীয় বিষয় ইনশাআল্লাহ্ আমরা জানবো ।
চ্যাপ্টার শেষে কিছু টু ডু দেয়া থাকবে, টুডু গুলো আমরা সাথে সাথে করে ফেলবো। কোন টা পেন্ডিং রাখবো না।
জব রেডি হওয়ার দিকে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তোমাকে অভিনন্দন।
এই বইটা সম্পর্কে রকমারি ডট কম এর চেয়ারম্যান সোহাগ ভাই কি বলে জেনে নেই-
জন্ম সরিষাবাড়িতে। গ্রাম এবং মফস্বল মিলিয়ে বেড়ে উঠা। বাবা ডাক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বাবার বদলির চাকরি, সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই অনেক ধরণের পরিবেশ এবং প্রতিবেশে থাকা হয়েছে। ঢাকায় লম্বা একটা সময় কেটেছে, বিভিন্ন মেসে থেকে। নানা ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়ার মানুষের সাথে মেশা হয়েছে যা তার অবজার্ভেশন ক্ষমতাকে শাণিত করতে সহযোগিতা করেছে। অনার্সে পড়ালেখার বিষয়বস্তু ছিল বিজনিস ইনফর্মেশন টেকনোলজি। ক্যারিয়ারের শুরুতে সফটওয়ার ডেভেলপার হিসেবে ৩ বছর কাজ করেছেন। একটা সময় লেখালেখির ভূত মাথায় চাপে। সেই ভূত মাথায় নিয়ে অনেকদিন ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেটা একটি ভিন্নধর্মী জার্ণি ছিল। সেই জার্ণির রূপান্তর ঘটে আবারও মাহমুদুল হাসান সোহাগ ভাইয়ের সান্নিধ্যে এসে। পেশাগত জীবনে অন্যরকম গ্রুপের কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মানুষ নিয়েই ওনার কাজ কারবার। ৬ বছর হলো ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। লেখকের কাজের অনেক বড় একটা অংশ হলো ট্যালেন্ট নারচার করা। কে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কী কী বায়াসনেস কাজ করে, কার দক্ষতার জায়গা কোথায়, একশন এবং থটের গ্যাপ কোথায়, কার ক্যারিয়ার কোন দিকে হওয়া উচিত, কে কীভাবে আরও ভাল পারফর্ম করতে পারে- এসব বিষয়ে ইনসাইট দিয়ে থাকেন। অন্যরকম গ্রুপের হয়ে লেখকের হাজার+ ইন্টারভিউ কনডাক্ট করার সুযোগ হয়েছে। ফ্রেশারদেরকে নিয়ে বেশ কয়েকটা জব রেডিনেস প্রজেক্ট করা হয়েছে। এছাড়াও পাইপলাইন ক্রিয়েশন, ট্যালেন্ট নারচারিং, পারফরম্যান্স ইভালুয়েশন, অনবোর্ডিং পলিসি, OKR Development, পলিসি ডেভেলপমেন্ট এরকম HR এর প্রত্যেকটা সেক্টরে তার ইন ডেপথ কাজ করার সুযোগ হয়েছে।