মহাপরাক্রমশালী আলাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কৃতজ্ঞতার মস্তক অবণত করছি। যিনি দীর্ঘদিন আমার মনের গহীনে লালিত স্বপ্নটি বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছেন।
সর্বকালের, সর্বযুগের, সকল মানুষের এবং নবী-রাসুলের শ্রেষ্ঠ যিনি আলাহ তা‘য়ালার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দুরূদ ও সালাম। যিনি এসেছিলেন মানবতার শান্তি, মুক্তি ও কল্যাণের সুস্পষ্ট, সুদৃঢ় রাজপথটি প্রদর্শনের জন্য।
রাসুল (সা.) এর বাণী
“আলাহকে ভালোবাসার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে মানুষকে ভালোবাসতে শিখ।”
রাসুলে মকবুল (সা.) এর এ সুমহান বাণীর উপর ভিত্তি করেই আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার নিরিখে “ভালোবাসা পেতে হলে” বইটি সকল মানুষের কল্যাণে পেশ করছি।
সমাজের সবস্তরেই ভালোবাসার যে জয়গান চলছে, ভালোবাসার এক অন্যরকম স্রোতে আমরা যে ভেসে চলছি- তাতে আমিও নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পারিনি; বরং ভালোবাসার এক পরিচ্ছন্ন, নৈতিক ও অপরিহার্য কিছু বিষয় এ বইতে তুলে ধরার চেষ্টা করছি এবং মনে করছি এ বিষয়গুলো তরুণ-তরণী, যুবক-যুবতি, বিবাহিত, অবিবাহিত, ছাত্র-ছাত্রী তথা আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলের জন্যই প্রয়োজন।
আজকের দিনে ভালোবাসার জন্য কত গান, কত কবিতা, ভ্যালেন্টাইন ডে-সহ কত দিবস পালন, কত নাটক, কত ছবি, কত উপন্যাস। ভালোবাসার প্রচণ্ড স্রোতে আমরা ভেসেই চলছি। কিন্তু যে ভালোবাসা মানুষের মধ্যে নৈতিকতার, পরিচ্ছন্নতার, কল্যাণ ও সহনশীলতার দ্বার প্রশস্ত করে দিবে সে ভালোবাসার সন্ধানে খুব কমই চেষ্টা করছি। এমতাবস্থায় আমি এ নিরস, অনাড়ম্বর চাকচিক্যমুক্ত তথা সাদাসিদে ভালোবাসা নিয়ে চিন্তা করে দীর্ঘ দিনের লালিত এ আকুতি, এ অভিজ্ঞতা প্রকাশের জন্যই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আমি একান্তভাবেই কামনা করছি এবং দৃঢ় বিশ্বাস করি যে, আমার এই লেখা আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পারস্পরিক ও সামাজিক জীবনের সর্বস্তরে আমাদের সৌহার্দ্য, স¤প্রীতি ও ভালোবাসার পথকে সুগম করবে। বইটি লেখা থেকে আরম্ভ করে প্রকাশনা পর্যন্ত যেসব ব্যক্তিবর্গ আমাকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেছেন, প্রেরণা যুগিয়েছন তথা যারা আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন তারা হলেন জনাব গোলাম হায়দার বি. এস. সি, জনাব মাওলানা মিছবাহ্ উদ্দিন এবং আমার প্রিয়সহধর্মিনী নার্গিস সুলতানা।
এনামুল হক