"যোগ চিকিৎসা ৩” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: অতীত ভারতের প্রাচীন চিকিৎসার আধুনিক রূপায়ণে যােগ চিকিৎসা বিরাট ভূমিকা গ্রহণ করেছে। যােগ চিকিৎসার প্রধান উপাদান আসন নিয়ে ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে এই গ্রন্থের দুটি খণ্ড। এবার তৃতীয় খণ্ডে আলােচিত হয়েছে। আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রাণায়াম ও মুদ্রা। শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ ও সুসম্বন্ধ করার প্রক্রিয়াকে সাধারণ মানুষ প্রাণায়াম বলে জানে। শাস্ত্র বলছে, আমাদের ইন্দ্রিয়ের ইচ্ছা, অনুভূতি ইত্যাদির মিলিত প্রচেষ্টাই হল শ্বাস-প্রশ্বাসের। গতির তারতম্য। আবার শরীর যখন সম্পূর্ণরূপে শােধন হয়ে যায় তখন ভিতরের বায়ু বাইরে ফেলা এবং বাইরের বায়ু ভিতরে নেওয়া— এই দুটোর কোনও ইচ্ছেই থাকে না। শরীর তখন বাইরের শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া স্তব্ধ করে, আনন্দে অভিভূত হয়। এই অবস্থাই প্রাণায়াম। মুদ্রা আসনেরই দ্বিতীয় অঙ্গ। বিশিষ্ট ভঙ্গিমায় সুখে অবস্থানই মুদ্রা। একই সঙ্গে মুদ্রা সূক্ষ্ম-শরীরের সংযম। এই খণ্ডে লেখক যােগ চিকিৎসায় প্রাণায়াম ও মুদ্রার ভূমিকা উদ্দেশ্য, আদর্শ ও দিশা নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা করেছেন। শুদ্ধ ও সঠিক প্রয়ােগে যােগ চিকিৎসার এই দুই পদ্ধতি, শরীরের সুস্থতা সম্বন্ধে আগ্রহী সকলকে কীভাবে নীরােগ রাখবে, তার বিস্তারিত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ আলােচনা এই তৃতীয় খণ্ডে।
দীপেন সেনগুপ্তর জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬, আসানসোলে। পিতামহ অষ্টাঙ্গ বিদ্যাপীঠের (পরবর্তীকালে অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ) প্রতিষ্ঠাতা আয়ুর্বেদাচার্য তারাপ্রসন্ন সেনশর্মা। বাবা ছিলেন চিকিৎসক। শিক্ষা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পরবর্তী পড়াশোনা দিল্লিতে। শিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ কলেজ অফ এডুকেশন ও হাওড়া অরথোপেডিক রেলওয়ে হসপিটাল স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে। লেখক স্বামী সন্তদাস ইনস্টিটিউট অফ কালচারের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক এবং স্বামী সন্তদাস হার্বাল রিসার্চ সেন্টারের প্রধান কর্ণধার। বর্তমানে স্বামী সন্তদাস ইনস্টিটিউট অফ কালচার যৌগিক কলেজের ডিরেক্টর। প্রতিষ্ঠা করেছেন ভারতে প্রথম যৌগিক নার্সিংহোম, ঢাকুরিয়ায়, ১৯৯৩ সালে। স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবার সুযোগ্য শিষ্য।। প্রাচীন ভারতীয় কৃষ্টি ও সভ্যতায় বিশ্বাসী লেখক তাঁর একুশ বছরের চিকিৎসা ও অধ্যাপনা জীবনে যোগচিকিৎসা ও খাদ্যতত্ত্ব নিয়ে চোদ্দোটির অধিক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।