বর্তমান ভারতের সংস্কৃতি ১৩ মতান্তর ২৪ ধর্মত্যাগী বাঙালি ৩৬ “বাঙালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার” : পঞ্চাশ বৎসর আগে ও পঞ্চাশ বৎসর পরে ৫০ বর্তমান সমা... See more
TK. 1,170
বইটি বিদেশি প্রকাশনী বা সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করে আনতে আমাদের ৩০ থেকে ৪০ কর্মদিবস সময় লেগে যেতে পারে।
বর্তমান ভারতের সংস্কৃতি ১৩ মতান্তর ২৪ ধর্মত্যাগী বাঙালি ৩৬ “বাঙালীর মস্তিষ্ক ও তাহার অপব্যবহার” : পঞ্চাশ বৎসর আগে ও পঞ্চাশ বৎসর পরে ৫০ বর্তমান সমাজ ও সংস্কৃতি ৫৫ পূর্ববঙ্গের সমস্যা ৬৮ ‘ভোট-মঙ্গল” : সেকালের বাঙালির চোখে ইলেকশন ৯০ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৯৯ শ্রেষ্ঠ বাঙালি কে ? ১১২ শ্রীযুক্ত প্রমথ চৌধুরী : পেন্সিল-ড্রয়িং ১২৮ শ্রীযুক্ত প্রমথ চৌধুরী : জের ১৩৬ সাম্প্রতিক বিশ্বসাহিত্য ও বাংলা সাহিত্য ১৪৫ বাঙালি ও রমণীর রূপ ১৫৮ অসতীত্ব : পুরাতন ও নূতন ১৬৯ বিবাহ, দাম্পত্য জীবন ও প্রেম ১৮২ ‘খাঁটি বাঙালি ব্যভিচারিণী থাকিব–না, মেকী ইয়োরামেরিকান ব্যভিচারিণী হইব !' ১৯৮ “পাসকরা মাগ” বা সেকালের বাঙালির চক্ষে স্ত্রীশিক্ষা ২১১ হিন্দুর মুসলমানী পরিচ্ছদ কেন ? ২১৯ আধুনিক কাঠ-খোদাই-চিত্র ২৩১ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রাবলী ২৪১ আমার দৃষ্টিতে নন্দলাল ২৭৩ নন্দলাল বসুর একটি ছবি ২৭৭ নন্দলাল বসু ২৮১ নন্দলাল বসু : চিত্রকর ২৮৩ ইউরোপীয় সঙ্গীতের সন্ধানে ২৮৯ গরুর গাড়ি ও রবারের টায়ার ৩০৩
Nirodchandra Chowdhury (জন্ম: ২৩ নভেম্বর, ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯৯৯) একজন খ্যাতনামা দীর্ঘজীবী বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ। স্কলার এক্সট্রাঅর্ডিনারী শীর্ষক ম্যাক্স মুলারের জীবনী লিখে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে নীরদচন্দ্র চৌধুরী ভারত সরকার প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা হিসেবে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তাঁর ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তীর্যক প্রকাশভঙ্গীর জন্য বিশেষভাবে আলোচিত ছিলেন।
নীরদ সি চৌধুরী নামটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর এক লেখায় পড়েছিলাম নীরদ সি চৌধুরী নাকি দশ হাজার বই পড়েছেন! এটা পড়ার পর নামটি মাথায় ছিল। মূলত দশ হাজার বইসংক্রান্ত দাবিটি নীরদ সি চৌধুরী নিজেই করেছেন। তিনি লিখেছেন,
' আমি সারাজীবন কম হইলেও দশ হাজার বই পড়িয়াছি। '
দশহাজারি নীরদ সি চৌধুরীর পান্ডিত্য প্রশ্নতীত। তিনি নেতাজির ভ্রাতা শরৎচন্দ্র বসুর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। ১৯৩৯-১৯৪১ সাল পর্যন্ত। তাই দেশবিভাগ নিয়ে কিছু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। এই বিষয়ে তাঁর রচিত প্রবন্ধগুলো বিশেষ মর্যাদার দাবি রাখে।
বাংলাদেশ নাকী স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ নয় ইত্যাদি ইত্যাদি লিখে বড় প্রবন্ধ ফাঁদলেন নীরদ সি চৌধুরী। পড়তে গিয়ে গা ঘিনঘিন করছিল। একটি মানুষসদৃশ ব্যক্তি কীভাবে এত উগ্র হতে পারেন?
ভারতের হিন্দুরা মুসলমানী পোশাক পরে জাত খোয়াচ্ছে! এমনই মনে করেন নীরদ সি চৌধুরী। মেয়েরা মুসলমানদের সালোয়ার, কামিজ পরে। হিন্দু পুরুষরা কোর্তা, পাজামা পরে। চুজ পাজামা পরে। এসব মুসলমানীগন্ধের পোশাক পরিধানের মতো হেন কাজ করে হিন্দুদের জাত,পাত চলে যাওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নীরদ সি চৌধুরী। পরামর্শ দিয়েছেন প্রাচীন আর্যদের ন্যায় পোশাক পরিধানের।
শিল্পকলা, পশ্চিমের সঙ্গীত এবং নন্দলাল বসুকে নিয়ে লেখা প্রবন্ধগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নীরদ সি চৌধুরীর অগাধ পাণ্ডিত্যের পরিচয় এতে পাওয়া যায়। পাঠকের জানার, বোঝার অনেক সুযোগও তৈরি হয়।
বাদামি সাহেব নীরদ সি চৌধুরী এক অদ্ভুত ব্যক্তি। তাঁর একগুয়েমি, মতামতের উগ্রতা এবং জ্ঞানের জন্য হয়তো তাঁকে কেউ কেউ ঘৃণা করবে, কেউবা হবে তাঁর গুণমুগ্ধ। কিন্তু এমনই একজন ব্যক্তি নীরদ সি চৌধুরী যাকে একেবারে বাতিল করা কখনোই সম্ভব নয়।