প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 22 Dec 2024 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
স্যার, মাথায় এমনভাবে কো*পানো হয়েছে যে, লোকটার চেহারা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। দেখুন স্যার, পুরো মাথাটাকে কু*পিয়ে এলোমেলো করে দিয়েছে। আমার তো মনে হয় ডিএনএ টেস্ট ছাড়া এই লা*শের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয় স্যার।” শহরের অদূরে কুঠিবাড়ি জঙ্গলে একটি লা*শ পাওয়া যায়। লা*শের ছয়টি টুকরো, টুকরোগুলো শক্ত হয়ে আছে। লা*শের টুকরোগুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে ফ্রিজিং করা। ফ্রিজিং করা লা*শের টুকরোগুলো এই জঙ্গলে নিয়ে আসা হয়েছিল গুম করার জন্য। কিন্তুু হামিদ মিয়ার জন্য লা*শটাকে গুম করা সম্ভব হয়নি। হামিদ মিয়া একজন পাখি শিকারি। কুঠিবাড়ি জঙ্গলে সে এসেছিল পাখি শিকার করতে। পাখি শিকার করতে এসে জঙ্গলে প্রবেশ করেই হামিদ মিয়ার নজরে পড়ে লা*শটা। লা*শের কাছে গিয়ে হামিদ মিয়া ভয়ে আঁতকে ওঠে। এরকম ভয়ংকর খু*ন সে আগে কখনো দেখেনি। ছয় টুকরো লা*শটির পাশেই একটি গর্ত রয়েছে। গর্তটা নতুন, মনে হচ্ছে টুকরো করা লা*শটাকে গুম করার জন্যই করা হয়েছে। সে লা*শটাকে যত দেখছে ততই তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে রাকিব খন্দকারকে। রাকিব খন্দকার আরকে গ্রুপ অভ্ কোম্পানির ডিরেক্টর এবং তার শিকার করা পাখির বড়ো ক্রেতা। রাকিব খন্দকার গতকাল সন্ধ্যায় অপহৃত হয়। হামিদ মিয়া মনে মন ভাবে, এই ছয় টুকরো লা*শটা রাকিব খন্দকারের নয়তো? জঙ্গলের ভেতর ছয় টুকরো লা*শ দেখে সে ফোন করে পিবিআইয়ের চৌকশ অফিসার এএসপি শাকিল চৌধুরীকে। এএসপি শাকিল চৌধুরী হামিদ মিয়ার ফোন পেয়ে ছুটে আসে কুঠিবাড়ি জঙ্গলে। শাকিল চৌধুরী এসে দেখে জঙ্গলের ভেতর হামিদ মিয়ার রক্তাক্ত লা*শ পড়ে আছে। তার লা*শের পাশেই পড়ে আছে ছয় টুকরো অজ্ঞাত লা*শটি, যে লা*শের কথা হামিদ মিয়া তাকে বলছিল। লা*শটি দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কার। কারণ মাথায় এমনভাবে কো*পানো হয়েছে যে পুরো মাথাটাকে এলামেলো করে দিয়েছে। এএসপি শাকিল চৌধুরীর অজ্ঞাত লা*শের পরিচয় ও তার খুনি কে? তাছাড়া হামিদ মিয়াকে কে খুন করেছে তা শনাক্ত করতে শুরু করে ইনভেস্টিগেশন। শাকিল চৌধুরী যতই ইনভেস্টিগেশনের গভীরে যাচ্ছে ততই একের পর এক খু*ন হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ছয় টুকরো এই লা*শটি কার? তাকে কে খু*ন করেছে? তাছাড়া হামিদ মিয়াকেই বা কে খু*ন করেছে আর পরবর্তী খু*নগুলোই বা কে করছে? প্রিয় পাঠক, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর রয়েছে ক্রা*ইম থ্রিলার “দ্যা সাইলে*ন্ট কি*লার-২”-এর গভীরে। তাই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে ক্রা*ইম থ্রি*লার “দ্যা সাইলে*ন্ট কি*লার-২”-এর গভীরেই।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, প্রথমেই আমি জহির খান আমার হৃদয়ের গহিন থেকে আপনাদেরকে জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন। আমি মূলত ব্যাংকার হলেও লেখালেখি আমার নেশস। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে আমি দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে আমার কর্মজীবন শুরু করি। লেখার হাতেখড়ি আমার সেই শৈশব থেকে। তখন থেকেই লেখালেখির প্রতি নেশা ছিল আর সেই নেশাটা এখন প্রথম প্রিয়ার মতো হৃদয়ের গহিনে জায়গা করে নিয়েছে। সেই নেশার সাথে আপনাদের অপরিসীম ভালোবাসা আমাকে লেখার প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তাই তো আমি সৃষ্টি করতে পেরেছি রোমাঞ্চকর উপন্যাস ' মেঘের আড়ালে মেঘ ' ডিটেকটিভ ' গোয়েন্দা রাহুল ' কিশোর উপন্যাস ' রাহুলের আদালত ' এর মতো পাঠকপ্রিয় বই। ' নতুন করে কী আর পুড়াবে আমায়, আমি তো পুড়ছি সেদিন থেকে যেদিন তোমার দীঘল কালো আউলা কেশের স্পর্শে জেগেছিল আমার সুপ্ত হৃদয় ' এটি রোমাঞ্চকর উপন্যাস ' মেঘের আড়ালে মেঘ ' এর নায়ক মেঘের উক্ত। এরকম অজস্র উক্তির মাধ্যমে সাজিয়েছি ' মেঘের আড়ালে মেঘ।' আপনাদের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা থেকেই এবার তিনটি বই আসছে ইনশাআল্লাহ। বই তিনটির এক. রোমাঞ্চকর উপন্যাস ' একলা আকাশ' দুই. থ্রিলার ' আগুন চোখের মেয়ে' এবং তিন. শিশুতোষ ' বানরের সাথে সন্ধি।' আমার বিশ্বাস তিনটি বই এই আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধুগণ। জহির খান।