এপ্রিল ১৯৪২ সাল, স্লোভাকিয়ান তরুণ, লেলি সকোলভকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হলো অসউইৎজ-বিরকানাউ-এর বন্দী শিবিরে। অপহরণকারীরা আবিষ্কার করল যে সে বেশ কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারে। তাকে নিয়োগ করা হল ট্যাটুরিয়া (জার্মান শব্দ ট্যাটুইস্ট) হিসেবে। তার সহবন্দীদের স্থায়ীভাবে ট্যাটু করার দায়িত্ব দেওয়া হয় লেলিকে।
আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী লেলি ভয়ঙ্কর নৃশংসতা এবং বর্বরতার জীবন্ত এক সাক্ষী। সেই সাথে ছিল অবিশ্বাস্য সাহসী ও সহানুভূতিশীল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার সহবন্দীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গেছে ট্যাটুরিয়া ওরফে লেলি।
১৯৪২ সালের জুলাই মাসের কোনো একদিন ট্যাটু করতে হাজির হলো ভয়ার্ত এক তরুণী, গীতা। জীবন এখানে ঘাসের ওপর পড়ে থাকা শিশির বিন্দুর চাইতেও ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু তারপরও থেমে থাকে না জীবনের চাওয়াপাওয়া। অসউইৎজের এই নরকেও এল প্রেম। লেলি আর গীতা। প্রতিজ্ঞা করল, যেকোনে মূল্যে তারা জীবন্ত বেরিয়ে যাবে এই নরক থেকে। ঘর বাঁধবে মুক্ত পৃথিবীতে।
এক এক করে পার হচ্ছে বিভীষিকাময় দিনগুলো। তিন তিনটে বছর।