বৃষ্টি ও পুতুলের কান্না নাট্যকার খ. ম. আ. রব বাংলাদেশের কোন উল্লেখযোগ্য নাট্যকার নয়। একজন নাট্যকর্মী মাত্র। নাটক লেখার প্রচেষ্টা তাঁর নিরন্তর। নিজে লেখেন ও পরিচালনা করেন ক্ষুদ্র পরিম-লে। উদ্দেশ্য নাটক যেন হয় সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। তাঁর লেখা নাটক পড়ে ও দেখে পাঠক কিংবা দর্শকের মনে সামান্য হলেও নাড়া দেবে এটুকু বলা যেতে পারে। তাঁর প্রথম লেখা ও মঞ্চস্থ নাটক ‘যে কাজ হয়নি শেষ’। তার দ্বিতীয় নাট্যগ্রন্থ ‘সোনার ধান’ গাঁয়ের সহজ-সরল বর্গাচাষীদের জীবনের দুঃখগাথা। ‘বৃষ্টি ও পুতুলের কান্না’ নাট্যকারের প্রথম শিশুতোষ নাটক। এ নাটক সকলের ভালো লাগবে।
খ. ম. আ. রব পিতা : খন্দকার মোঃ মোশারফ হুসেন মাতা : রোকেয়া বেগম গ্রাম : কেওয়া পশ্চিম খ- ডাক : মাওনা বাজার উপজেলা : শ্রীপুর। জেলা : গাজীপুর।
শিক্ষাজীবন : মাওনা প্রাইমারী স্কুলে শৈশবে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৭৫ সালে মাওনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৭৮ সালে ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মান এবং ১৯৮২ সনে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাশ করেছেন। কর্মজীবন : ১৯৮৫ সনে ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ‘বিক্রমপুর কে. বি. ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ে বাংলার প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে একই মহাবিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
... ও তাই বুঝি। তবে তো তোমার ভীষণ দুঃখ। জানো, আজ না আমার মনে খুব আনন্দ। কারণ, আমি আজ মুক্ত-স্বাধীন। সূর্যের হাতে বন্দী হয়ে আমি তিলে তিলে উপলব্ধি করেছি পরাধীন জীবন কত কষ্টের। কিন্তু এখন আমি মুক্ত।... আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। ... বৃষ্টি!! ...
... কিন্তু এক এক করে তোদের সবাইকে কত কষ্ট করে গড়ে তুলি অথচ ধরে রাখতে পারি না। ঐ মানুষেরা সব নিয়ে যায়। ওরা আমার কষ্টে গড়া পুতুল নিয়ে খেলা করে। আর তাইতো আবারও আমাকে পুতুল তৈরি করতে হয়। তোদের ছেড়ে দিতে আমার কি কম কষ্ট হয়। যদি তোদের দেহে প্রাণ দিতে পারতাম ; তবে তোরা আমার সাথে ঘুরে ঘুরে বেড়াতি, খেল্তি। সারারাত কত কথা বল্তি ... বুড়ি !!