ধরা যাক, আপনি নিতান্ত নিরীহ একজন গৃহবধূ। মনের মত স্বামী আর আদুরে দুই সন্তান নিয়ে সুখের সাগরে আপনার বসবাস। তারপর একদিন হুট করে জানলেন, আপনার নিপাট ভদ্রলোক স্বামী আদৌতে একজন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। জানার পর ধাতস্থ হবার সময়টুকুও পেলেন না। পুলিশ এসে স্বামীসমেত ধরে নিয়ে গেল আপনাকে। আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। কেউ কেউ নাকি দেখেওছে যে আপনি আপনার খুনি স্বামীকে শিকার করতে এবং লাশের গায়ের চামড়া ছিলতে সাহায্য করেছেন। তবে আদালত আপনাকে ছেড়ে দিল।
কী ভাবছেন এতকিছুর পরেও আগের মত করে বাঁচতে পারবেন আর? আপনার স্বামী যাদের খুন করেছে, তাদের প্রিয়জনেরা যদি প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে, তখন কী হবে? সবাই কি আদালতের রায় মেনে নিয়ে আপনাকে নির্দোষ ভাবতে পারবে? আবার ভুলে গেলে চলবে না, যুগটা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার, ট্রল করা যেখানে ভাত খাওয়ার মতই নিত্তনৈমিত্তিক একটা ব্যাপার। সুতরাং শত্রু আপনার চতুর্মুখে।
নিজেকে এবং বাচ্চাদের নিরাপদ রাখতে পরিচয় পাল্টে আপনি গা ঢাকা দিলেন। কিন্তু পালিয়ে কি বাঁচলেন?
একদিন সকালে বাড়ির সামনের লেকে ভেসে উঠলো একটা লাশ। খুনের ধরন দেখে আঁতকে উঠলেন, কারণ ঠিক একই ভাবে কোমলমতি মেয়েগুলোকে লাশ বানাত আপনার প্রাণের স্বামী। কিন্তু সে তো এখন দুর্ভেদ্য কারাগারে, বসে বসে ফাঁসির দিন গুনছে। তাহলে?
জানতে হলে যেতে হবে স্টিলহাউজ লেকে। যাওয়া যাক তবে...