বইটি মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনার নির্যাস। বইটিতে আছে ওয়েষ্ট মিনিষ্টার গণতন্ত্রের সারমর্ম তুলে ধরার প্রয়াস। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার দলীয় এবং নির্দলীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি সুষম মিশ্রণ। সংসদ, মন্ত্রিসভা এবং মন্ত্রণালয় হলো সরকারের শক্তিশালী তিনটি দলীয় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার এবং সাংবিধানিক সংস্থাগুলো সরকারের নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান। দলীয় এবং নির্দলীয় কর্মকাণ্ডের এই সীমান্তরেখা না মানলে বিপন্ন হতে পারে বহুদলীয় গণতন্ত্র। স্থানীয় সরকার এবং সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে দলীয়করণ করলে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে সংসদীয় গণতন্ত্র। রাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য উচ্চকক্ষ, উচ্চশিক্ষা কমিশন, রাজনীতি কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন, অপরাধ দমন কমিশন এবং সাংবিধানিক আদালতের প্রয়োজনীয়তা বইটিতে বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সর্বদলীয় সমঝোতা বা চুক্তি সংসদীয় গণতন্ত্রের জীবনপ্রদীপ। এই সমঝোতা নির্মাণে সিভিল সমাজের বহুবিধ বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্যোগের একটি হলো এই লেখালেখি। বইটির অন্যতম ফোকাস হলো শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান, রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা এবং ভোট দেয়া ও ফেরত নেয়ার নাগরিক অধিকার। বইটি সত্যান্বেষী পাঠক ও এবং বেকার শিক্ষিত যুবসমাজের কাছে নতুন নতুন চিন্তার খোরাক হবে বলে আশা করা যায়।