আমাদের জাতীয় জীবনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ৭০ এর নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে বিজয়ী হলে নিয়মানুযায়ী তাঁকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে তাঁর হাতে ক্ষমত... See more
TK. 350 TK. 263 You Save TK. 87 (25%)
কমিয়ে দেখুন
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
আমাদের জাতীয় জীবনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ৭০ এর নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে বিজয়ী হলে নিয়মানুযায়ী তাঁকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে তাঁর হাতে ক্ষমতা অর্পনের কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করছিলেন। ইয়াহিয়া ৭১ এর ১৫ মার্চ শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় আসেন। ১৬ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা চলে। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া পাকিস্তান চলে যান। ঐদিন গভীর রাতেই ঢাকায় চলে ক্র্যাক ডাউন। আওয়ামী লীগের নেতারা যে যার মতো পালিয়ে যান ভারতে। শেখ মুজিব ধরা দেন পাকিস্তানিদের হাতে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। তিনি কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে যান নি। জাতি মাঝিহীন নৌকার মতো দিকভ্রান্ত অবস্থায় ছিল। এমন অবস্থায় জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথমে নিজের নামে এবং পরে শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার এই ঘোষণা জাতিকে অনুপ্রাণিত করে। জনগণ তাদের করণীয় সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।
অতএব, আমাদের স্বাধীনতার পেছনে জিয়াউর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, মুক্তিযুদ্ধে তার অসীম বীরত্বও অতুলনীয়। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি যেভাবে জীবন বাজি রেখে বীরত্বের সহিত যুদ্ধ করেছেন, সেসব কাহিনী পাঠ করলে গায়ে কাঁটা দেয়। বিশেষ করে শেরপুরের কামালপুরের যুদ্ধ ইতিহাসের ভয়ঙ্কর যুদ্ধসমূহের একটি।
জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঙ্গে তাঁর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জিয়ার সততা, সাহস, দেশপ্রেম ও নিষ্কলুষ চরিত্র আমাদেরকে যুগে যুগে প্রেরণা যোগাবে।
আমার এই সংকলনটি প্রায ১০ বছর আগে লিখা। কিন্তু অনুকূল পরিবেশের অভাবে এতদিন এটা প্রকাশ করতে পারিনি। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হওয়ায় সংকলনটি প্রকাশের উদ্যোগ নিলাম। আশা করি পাঠকদের কাছে এটি সমাদৃত হবে। সংকলনটির উৎকর্ষ সাধনে যে কোনো পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।