প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 10 Jan 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
মিয়াজান একটি ইতিহাস আশ্রয়ী উপন্যাস। বিস্মৃতপ্রায় সোনালি ইতিহাসের বিদ্রোহী নায়ক ছিলেন মিয়াজান। তার জন্ম ১৮০২ সালে বৃটিশ ভারতে। তার জন্ম খোকসা থানা চকহরিপুর গ্রামে হলেও পিতার সাথে কৈশোরে কুমারখালীর দুর্গাপুরে চলে আসেন। কুমারখালী বসেই মুসমানদের ধর্মীয় আকিদার সংস্কার এবং বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করেন। ধর্মীয় সংস্কারক, নীলকর ও সামন্তবাদ বিরোধী নেতা এবং ভারতবর্ষে সংঘটিত বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনেরও তিনি ছিলেন একজন অকুতভয় নেতৃত্ব দানকারী আজাদী নেতা। তিনি শুধু ধর্মীয় সংস্কারক ছিলেন না, বরং কৃষক, তাঁতি এবং অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষকে শোষণ থেকে মুক্ত করার জন্য সংস্কার আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন মুসলমানদের মাঝে দিনে দিনে যে ধর্মীয় কুসংস্কার প্রবেশ করেছে তা উচ্ছেদ করে তাদের ইসলামের মূল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে।তিনি বছরের বছর লড়াই করেছেন বৃটিশের বিরুদ্ধে। মনে রাখা প্রযোজন যে, শুধু টেবিলে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে
ভারতের স্বাধীনতা আসেনি। বৃটিশের বিরুদ্ধে আজদী সংগ্রামের যে নেতার নাম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গেলেই উচ্চারিত হয়। সেই নেতার নাম মুছে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছিল। তাকে ওহাবী, সন্ত্রাসী বলে ট্যাগ দিতো ইংরেজ ও তাদের তাবেদাররা। দশকের পর দশক ধরে মুসলমানের ইতিহাস লিখে চলেছে অন্যরা। তাতে আছে মিথ্যা কথা। মিথ্যা উপাখ্যান। লড়াকু এই সাহসী নেতাকে নিয়ে তেমন কোন লেখা নেই। ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে তাঁকে নতুনভাবে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই আজাদী আন্দোলনের উত্তল দিনগুলোতে
কেমন ছিল মিয়াজানের জীবন। মিয়াজানের জীবনে ঘটে যাওয়া অম্লমধুর কাহিনি ও দুর্বিসহ সময়কে জানতে পড়ুন ঐতিহাসিক উপন্যাস মিয়াজান।