প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 01 Feb 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
‘নরকে জান্নাত’ বাস্তব ঘটনা আশ্রিত একটি সামাজিক উপন্যাস। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের উপর যৌন-নির্যাতনের বিভিন্ন বাস্তব ঘটনা আবর্তনের মাধ্যমে কাহিনী একটু-একটু করে চূড়ান্ত ঘটনার দিকে এগিয়ে গেছে। যৌন-নির্যাতনের এই দৌড়ে কৃষক, নেশাখোর, সাধক, ধর্মীয় নেতাও জড়িত রয়েছেন। উপন্যাসের নায়ক একজন যান্ত্রিক জীবনে আটকে থাকা সাধারণ মানুষ, যিনি জীবনের নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে জীবনের অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। উপন্যাসের এই প্রধান চরিত্রটি তার দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি ও মানসিক উদ্বেগের মধ্যে ফেঁসে থাকে। তিনি প্রায়শই সমাজের অন্ধকার জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু তার স্বপ্নগুলো ক্রমাগত ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। সমাজ তার আপন সংস্কৃতি বহন করেই চলতে থাকে। এই চরিত্রটি একঘেয়ে জীবনের বিপরীতে একধরনের আধ্যাত্মিক শান্তি ও পূর্ণতার সন্ধান করে। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন সত্য এবং সামাজিক বাধ্যবাধকতা তার চিন্তাভাবনা ও আধ্যাত্মিকতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। উপন্যাসে নায়কের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং জীবনের অর্থ খোঁজার প্রচেষ্টা খুব গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে। তার জীবনের হতাশা ও আত্ম-অন্বেষণ প্রতিটি পৃষ্ঠায় প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে তিনি তার জীবনের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে থাকেন। তার এই নতুন চিন্তার একমাত্র সঙ্গী তার খুব নিকটের মানুষ; যাকে এখানে নায়িকা রূপে পাওয়া যায়। উপন্যাসটি জীবনের কঠিন বাস্তবতা এবং আধ্যাত্মিকতার সন্ধানকে কেন্দ্র করে এক গভীর ও চিন্তাশীল প্রেক্ষাপটের মধ্যে রচিত।
তাজুল ইসলাম ২০ অক্টোবর ১৯৯৯ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অন্তর্ভুক্ত যতীন্দ্র নারায়ন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চরশিবের কুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালমনিরহাট থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, চরকুলাঘট উচ্চ বিদ্যালয়, লালমনিরহাট থেকে মানবিক শাখায় মাধ্যমিক এবং কারমাইকেল কলেজ, রংপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে অধ্যয়নরত। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘শ্রেষ্ঠের সন্ধানে সুন্দরের পূজারী’ (২০১৫), ‘জারজ সন্তান’ (২০১৯) ও ‘দেহ পুড়ে অন্তর জ্বলে’ (২০২০)। প্রকাশিতব্য বইসমূহ: ‘নরকে জান্নাত’ (উপন্যাস), ‘ধর্ম বেঁচে ইমান কিনি’ (কাব্যগ্রন্থ), ‘ইসলাম এবং সন্ত্রাসবাদ’ (অনুবাদ), ‘সোশ্যাল রিসার্চ’ (একাডেমিক)। লেখাচিত্র প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হলো প্রথম ই-বুক ‘পুড়ে যাচ্ছে পৌরাণিক বিহঙ্গ’। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত। তিনি একজন নারী অধিকার উন্নয়ন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। ২০১৫ সালে গড়ে তুলেছেন সামাজিক কল্যাণমূলক সংগঠন ‘লালকুড়ি’। দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লেখালেখি করেন।