"রামায়ণ" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার, এই গ্রন্থ মূল নসংস্কৃত রামায়ণের মূলানুগ কিংবা ভাবানুবাদ নয়। সে কাজ ইতিপূর্বে অনেক নমস্য মনীষী অনেক ভাবে করেছেন। বহুচর্চিত সেই পথ পরিত্যাগ করে লেখক এখানে রচনা করেছেন রামায়ণের দ্বিভাষ্য। একটি বৃহৎ ভাষ্য আর একটি সংক্ষিপ্ত ভাষ্য । দুটি ভাষ্যেই আদি মহাকাব্যের মূলের আস্বাদ পাওয়া যাবে। তবে ভিন্ন মাত্রায়। এ যুগের মানুষের হাতে সময় কম। তাই নিজস্ব সময় অনুযায়ী যে যেভাবে রামকাহিনী জানতে চান, তিনি ঠিক সেইভাবেই এই গ্রন্থপাঠে আনন্দ পাবেন। আবার এই দুটি ভাষ্য মিলিয়ে সম্পূর্ণ গ্রন্থটি হয়ে উঠেছে একটি অভিনব ‘রামায়ণ অভিধান’। রামায়ণ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। রামকথার নানা জানা-অজানা কাহিনী, সব মুখ্য ও গৌণ চরিত্র, সেই সময়কার ভৌগােলিক পরিবেশ, পৌরাণিক বাতাবরণ, শাস্ত্র, শস্ত্র, সতেরােটি বংশ তালিকা। রাম, রামানুজ ও সীতার বনবাসকালের বিচরণপথের মানচিত্র এবং সূর্যবংশের কালানুক্রমিক পরম্পরা ইত্যাদি বিষয়গুলি তৎক্ষণাৎ দেখে নেওয়া ও যাচাই করার সুযােগ এই বইয়ের পাতায় পাতায়। মহাকাব্যের গভীর গহন অতল থেকে সমস্ত প্রয়ােজনীয় তথ্যকে গ্রন্থকার তুলে এনেছেন। পরমনিষ্ঠায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমে। কিংবা বলা যেতে পারে, যেসব মণিরত্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল রামকাহিনীর সপ্তকাণ্ডে, তাকেই দুই মলাটের মধ্যে পরিবেশন করেছেন লেখক।