রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সংস্কারের ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিশেষজ্ঞগণ
তাঁদের সুচিন্তিত মতামতগুলো নিবন্ধ আকারে এবং সাক্ষাৎকারে উপস্থাপন করে
আসছেন বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেন পরবতীর্ সময়কালে রাষ্ট্র সংস্কার ব্যাপারে
মতামত তুলে ধরে পত্র পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি হয়।
সেগুলো মনোযোগসহকারে পাঠ করার পর পুনঃপুনঃ পাঠের জন্য পেপারকাটিং
সংগ্রহে রাখতাম। এ চিন্তা থেকে যে, বিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত মতামতগুলো একত্র
করে বই আকারে প্রকাশ করা যেতে পারে। বইটি শ্রেণীবদ্ধ করার ক্ষেত্রে একই
বিষয়ে একাধিক বিশেষজ্ঞের লেখা নিবন্ধগুলো ‘ডায়ালিসিস’ করে অধ্যায়ভিত্তিক
সাজানো হয়েছে।
৩৬ জুলাই’ ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান পরবতীর্ অন্তর্বতী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের
পদক্ষেপ হিসেবে এ পর্যন্ত বারটি কামিশন গঠন করেছেন। ডিসেম্বর—জানুয়ারিতে
কমিশনসমুহ সুপারিশমালা পেশ করবেন।
সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয়
সরকার এবং স্বাস্থ্য সেবা সংস্কারের পদক্ষেপ বিষয়ে বইটির যথাক্রমে প্রথম,
দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, সপ্তম এবং একাদশ অধ্যায়ে বিশেষজ্ঞদের সুচিন্তিত
মতামতগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যার দ্বারা কমিশনসমুহ তাঁদের প্রস্তাবনাসমুহ
প্রস্তুতে সহযোগিতা পেতে পারেন।
একটি রাজনৈতিক সরকারই কেবল সদিচ্ছার জোরে রাষ্টের কল্যাণ উপযোগী
সার্বিক সংস্কার সাধন করতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দল এবং
জোটসমুহের দফাভিত্তিক প্রস্তাবনাগুলো মোটাদাগে বর্ণিত এবং অনেকাংশে
অসম্পূর্ণ বলা যায়। বইাট রাজনৈতিক দলসমুহকে একটি পূণার্ঙ্গ রাষ্ট্র সংস্কারের
দলিল তৈরিতে সহযোগিতা করতে পারে।
জেন—জি প্রজন্মকে বইটি অবশ্য পাঠ্যবই হিসেবে গ্রহণ করা দরকার। বইটি আত্মস্থ
করতে পারলে তারা একেকজন রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে
পারে। শিক্ষক—কর্মকর্তা, গবেষক, রাজনীতিবিদ, আইনবিদ, প্রিন্ট এবং
ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সমাজ, রাজনৈতিক কমীর্, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সবোর্পরি আপামর সচেতন ছাত্রজনতার জন্য বইটি রাষ্ট্র মেরামতের ব্যাপারে স্বচ্ছ
ধারণা লাাভের জন্য ‘গাইডবুক’ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।