একাত্তরের গণহত্যায় প্রিয়জনের মৃত্যু দেখেছেন, লাশ টেনেছেন, শহিদদের রক্তে নিজের শরীর ভিজিয়েছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। তাকেও হত্যা করা হতো, কিন্তু দৈবক্রমেই বেঁচে যান তিনি। আরেক শহিদের মাথার মগজটি মাটি থেকে তুলে কাফনে রেখেছিলেন তারই ছোটো ভাই। কী ঘটেছিল রক্তাক্ত ওই দিনগুলোতে?
হৃদয়ে দাগকাটা একাত্তরের এমন মর্মস্পর্শী আটটি গণহত্যার পাশাপাশি পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে পালিয়ে এসে এক বীরউত্তমের মুক্তিযুদ্ধে যোগদান, মুজিবনগর সরকারে খন্দকার মোশতাকের ভ‚মিকা, শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর অবস্থা, কাজী আরেফদের একাত্তর ও একজন বীর নারীসহ ১০ জন মুক্তিযোদ্ধার জীবনের গদ্য সন্নিবেশিত হয়েছে সালেক খোকন রচিত নতুন গবেষণাগ্রন্থ ‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’-এ।
মুক্তিযুদ্ধের বিস্মৃত ইতিহাস তুলে আনার প্রয়াসে লেখক ও গবেষক সালেক খোকন কাজ করছেন এক যুগেরও অধিক সময় ধরে। নিভৃতচারী লেখক নিরলস প্রচেষ্টায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অনালোচিত মানুষের কথা ও ঘটনা শোনাতে ব্রতী হয়েছেন, যাঁরা বা যা ছিল অন্তরালে।
‘গৌরব ও বেদনার একাত্তর’ বইটির লেখাগুলো পাঠককে চুম্বকের মতো নিয়ে যাবে ঐতিহাসিক একাত্তরের গহিনে। যা যে কোনো বয়সি পাঠকের মনে উন্মেষ ঘটাবে দেশ ও মানুষের প্রতি প্রদীপ্ত অঙ্গীকার
লেখক ও গবেষক। জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটা বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। তাঁর রচিত যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে ‘তরুণ কবি ও লেখক কালি ও কলম’ পুরস্কার লাভ করে। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।