ছাত্রসমাজ কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনের সূচনা করে শেষ পর্য়ন্ত ভিত নাড়িয়ে দিল শেখ হাসিনার শক্ত হাতে গড়ে তোলা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার। শেষে তা তাসের ঘরের মতো ভেসে গেল। এই সময়টা খুব লম্বা নয়, সাকুল্যে দুই মাস। আর মূল সংগ্রাম মাত্র তেইশ দিনের। বলা যায় দেশ কাঁপানো তেইশ দিন। ৪০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ১২ বছর ধরে আন্দোলন করলেও জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা আওয়ামী সরকারকে হঠাতে পারেনি। আর ২০২৪-এ এসে জুলাই আগস্টের রক্ত¯œাত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাত্র দুমাসে তা সফলতার দ্বারপান্তে পৌঁছে যায়। এই দুটি মাস ছিল দেশকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যাওয়ার এক যুগান্তকারী ঘটনা বহুল। শেষে ৫ আগস্ট এলো মহাবিজয়ের মহামিলনের এক ক্ষণ।
আমি দেখেছি এ দিন ঢাকার রাস্তায় চাপ চাপ উত্তেজনা। মানুষের মনে মুক্তির এক আকাক্সক্ষা গুমড়ে মরছে। কিন্তু প্রকাশ পাচ্ছে না। শেষে দিনটি পরিণত হলো মহাবিজয়ের এক ক্ষণে।
সেই বিজয়কে ছাত্ররা বলেছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা তথা দ্বিতীয় বিজয়। জুলাই মাসের রক্তপ্লাবী দিনগুলোকে স্মরণে রাখতে তারা জুলাই গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সময়টাকে। সেই সামটাকে তারা সম্প্রসারিত বা প্রলম্বিত করে ৩৬ জুলাই নামকরণ করে। তারা দেয়ালে গ্রাফিতির আকারে তার প্রকাশ ঘটায়।
কি ছিল এই দিনগুলোর বৈশিষ্ট্য? কি যাদু ছিল কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের কর্মসূচীতে? শেষে বিজয়ের ক্ষণটি কেমন ছিল? তার বিশ্লেষণ ও চিত্র তুলে ধরতে এই বই।