প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 25 Dec 2024 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
মোসাদ্দেক টাওয়ারের এগারোতলা থেকে একটা রেইনকোট পরা লোককে একটা চারবছরের বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে মেরে ফেলতে দেখল আনিশা। ছুটে পালিয়ে আসার পর শুনল বাচ্চাটার মৃত্যুর পরপরই রেইনকোট পরা এক লোক আত্মহত্যা করেছে এগারোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত হল, রেইনকোট পরা লোকটা নিহত বাচ্চাটার নিজের বাবা ছিল। কিন্তু আনিশা একাই জানল, সিসিটিভিতে যা-ই থাক, খুনি অন্য লোক, বাচ্চাটার বাবা না। সেরাতে রোকেয়া হলে আনিশার উপর হামলা করল সেই খুনি। আনিশাকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হল হলের দারোয়ান আর এক সিনিয়র আপু। সবাই-ই খুন হল, খুনির চেহারা দেখে ফেলায়। আনিশা প্রাণে বাঁচতে সাহায্য চাইল নাইজেরিয়ার এক মিশনে এক পা হারানো প্রাক্তন সেনাবাহিনীর মেজর, সাংবাদিক ও গোয়েন্দা মি: উমারের। খুনি কেন নিজের চেহারা গোপন রাখতে এতগুলো খুন করল, সেটা খুজতে গিয়ে মি: উমার জড়িয়ে পড়ল মদ, জুয়া, নারী, হেরোইন ব্যবসার জালে বোনা আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক রহস্যময় ধাঁধায়, যেখানে শিশুদের কিডন্যাপ করে বডি স্টাফার বানিয়ে হেরোইন পাচার করা হয়। বুদ্ধির এক নৃশংস খেলায় মি: উমার মেতে উঠল ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক অদেখা রহস্যময় গডফাদারের সাথে। যে খেলার জন্য অসংখ্য নিরীহ মানুষ জীবন দিয়েছে। মি: উমার এই খেলার পাল্টা চালে সফল না হলে মারা যাবে আরো নিরীহ মানুষ, ঢাকাকে গ্রাস করবে মাফিয়া রাজ্যের এক কালো ছায়া....
লেখক রায়হান মাসুদের জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৪ জুন। তার বাবা তালুকদার মোঃ মাসুদ একজন উকিল। আর মা মোসাঃ শাকিলা আক্তার একজন গৃহিণী। লেখক শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। লেখক পেশায় একজন ডাক্তার। এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ৪০, ৪২ দুই বিসিএসেরই ক্যাডার। গল্প লেখা লেখকের নেশা। এই তারিখ পর্যন্ত লেখকের লেখা গল্পসংখ্যা ৩৯০ টি এবং উপন্যাস সংখ্যা ১০ টি এবং এখনো চলমান। ২০১৪ সাল থেকে লেখালেখিতে জড়ানো লেখকের এতগুলো গল্প-উপন্যাসের মধ্যে প্রকাশিত উপন্যাস মাত্র ২ টি। বলি ও চট্টলায় এক ডাইনি থাকে। আর বিভিন্ন গল্পসংকলনে প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা ১৫ টি। এদ্বারাই বোঝা যায়, লেখক কতটা ধৈর্য নিয়ে এত বছর ধরে লড়াই করছেন নিজের এই আবেগটা নিয়ে। লেখালেখি তিনি ছাড়েন নি, এবং ছাড়বেনও না। এইচপি লাভক্রাফটও তার জীবদ্দশায় তার লেখার মূল্য পান নি। তার মৃত্যুর ১৫ বছর পর তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে সাহিত্যে "লাভক্রাফটিয়ান হরর" নামে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়। লেখক রায়হান মাসুদও তাই সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লিখে যাচ্ছেন।