প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 01 Feb 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
চলছে বর্ষসেরা অফার ক্লিয়ারেন্স সেল! থাকছে বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
‘গানের ডালি’ নামেই বোঝা যায় এটি একটি গানের বই। ৮০ পৃষ্ঠার এ বইটিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত স্বরচিত ৭২টি বাছাইকৃত ভিন্ন ভিন্ন গান লিপিবদ্ধ হয়েছে। এতে প্রেম, বিরহ, রোমান্স, বিয়েসাদী, দেশপ্রেম, সমাজ, পরিবেশ-প্রকৃতি, গ্রামবাংলা, স্রষ্টার স্তুতি ইত্যাদি নিয়ে যেমন রয়েছে বড়দের গান, তেমনি ছোটদের নিয়েও লিপিভুক্ত হয়েছে বেশকিছু ছড়াগান। এছাড়া প্রতিটি গানের বিশেষ অংশগুলো দিয়ে প্রতি পৃষ্ঠায় প্রতিটি গানের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এক বা একাধিক ‘মধুছন্দ’। এ রসাত্বক মধুছন্দগুলো পাঠককে অতিরিক্ত আনন্দ দিবে বলে আশা রাখি। আমার এ গ্রন্থের যে কোনো গান গীতল বিবেচিত হলে সংগীতের নিয়মকানুন মেনে এবং গানের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে যে কেউ সুরারোপ করে গাইতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না। এ বইয়ের কোনো গানেরই স্বরলিপি লিপিবদ্ধ হয়নি। সংগীতপ্রেমীদের সাড়া পেলে আগামীতে বইটিকে আরও বর্ধিত কলেবরে প্রকাশ করতে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। বইটিতে নির্ভুল বানান রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। তবুও ই-মেইলে, ফেসবুকের ইনবক্সে অথবা ফোনে পাঠকসমাজ, ভক্ত-অনুরাগীবৃন্দ ও সংগীতপ্রেমীদের বিশেষ করে যারা সংগীত চর্চা করেন এবং এ বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন, তাদের সুচিন্তিত মতামত, পরামর্শ ইত্যাদি পেলে আগামীতে তা শুধরে নেবার অবকাশ থাকবে। আশা করি, সব বয়সের উপযোগী আমার এ ‘গানের ডালি’ গীতিকাব্য গ্রন্থটি সংগীতপ্রেমীদের কাছে নন্দিত হয়ে পাঠকপ্রিয়তা পাবে।
এক সময়ের দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রথম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘হইচই’ হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ‘হবিগঞ্জ জেলা প্লান্ট নার্সারী মালিক কল্যাণ সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ‘উদীচী’ হবিগঞ্জ জেলা শাখার প্রাক্তন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ‘ছড়া সংসদ’, হবিগঞ্জ’র প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক, হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক খোয়াই’র প্রাক্তন বিভাগীয় সম্পাদক, সিলেট থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ‘মাসিক বাসিয়া’র নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি ও লেখক, যিনি বাংলা সাহিত্যে আজীজ আহমেদ এবং আব্দুল আজিজ এ দুনামেই সমান পরিচিত। তার আসল নাম মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। হবিগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রামকৃষ্ণ মিশন রোড, গানিং পার্ক আ/এ’র এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ২৮ জানুয়ারি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে স্বনামধন্য এ লেখকের জন্ম। তার পিতার নাম মরহুম মোহাম্মদ আবুল হাশেম এবং মাতার নাম মোছাম্মৎ ছুরত বানু ওরফে রেণু। নানার বাড়ি হবিগঞ্জ পৌর এলাকার মোহনপুর চেয়ারম্যান বাড়ি ও দাদার বাড়ি হবিগঞ্জ শহরতলীর জালালাবাদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় বৃন্দাবন সরকারি মহাবিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। পরে সিলেট ’ল-তে কিছুদিন এলএলবি অধ্যায়ন করেন। ২০০৭ সালে ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি বিজয়ী হয়ে তিনি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমান। সাহিত্যাঙ্গনে দেশের আজীজ আহমেদ সেখানে গিয়ে আব্দুল আজিজ নামে আত্মপ্রকাশ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। এ পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকাসহ মাসিক শিশু, মাসিক টইটম্বুর, মাসিক ফুলকুঁড়ি ইত্যাদিতে তার অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ বেতার সিলেট ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকার তালিকাভুক্ত গীতিকার। পেশায় তিনি একজন গ্লোবাল সার্টিফাইড মাইক্রোসফ্ট অফিস ইন্সট্রাক্টর ও কম্পিউটার রিপেয়ারম্যান। আজিজ মাল্টি-সার্ভিসেস নামে নিউ ইয়র্কে তার একটি মোবাইল ব্যবসা রয়েছে। দেশে তার নিজ এলাকার অধুনালুপ্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মৌসুমী প্লান্ট নার্সারী’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসাবেও তার বেশ খ্যাতি আছে। ইতিপূর্বে প্রকাশিত তার ‘ছড়ার ঘড়া উপুড় করা’ ছড়াগ্রন্থটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। ‘শ্রেষ্ঠ ছড়ার বই’ শিরোনামের এ গ্রন্থটি তার তৃতীয় ছড়াগ্রন্থ। তার অন্য আরও দুটি প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে ‘আমার মায়ের হাসি’ (ছড়াগ্রন্থ) ও ‘সুরের তরী’ (গীতি কাব্যগ্রন্থ)-র নাম উল্লেখযোগ্য। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তিন ছেলে যথাক্রমে কৌশিক আহমেদ, কনক আহমেদ ও রনক আহমেদ এবং স্ত্রী সুলতানা আজিজকে নিয়ে তিনি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সাত ভাইয়ের তৃতীয় তরুণ এ লেখক সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।