‘তব কথামৃতম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ‘শ্রীম’ কথিত ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ গ্রন্থের আবেদন ক্রমবর্ধমান। পরম পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণের মুখে সর্বকালের সর্বজনীন আধ্যাত্মিক তত্ত্ব এই গ্রন্থে অতি সহজ, সরল ও সরসভাবে পরিবেশিত হয়েছে। এই গ্রন্থেরই এক অনন্য ভাষ্য এই বই, ‘তব কথামৃতম্’। রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার-এর অধ্যক্ষ স্বামী লোকেশ্বরানন্দজী মহারাজ কৃত ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-কথামৃত’-এর ব্যাখ্যা বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা ও সন্নিহিত অঞ্চলের জনসাধারণকে আনন্দ দিয়ে আসছে। তাঁর ভাষণ ও আলোচনার প্রধান বৈশিষ্ট্য এই যে, এমন সহজ ও সাবলীল এক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, যাতে গভীর ও দুরূহ তত্ত্বও সাধারণ মানুষের কাছে প্রাঞ্জল ও আকর্ষণীয় হয়ে ধরা দেয়। জনসাধারণের ব্যাপকতর অংশের কথা, মনে রেখে লোকেশ্বরানন্দজী মহারাজকে আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তিনি যেন ‘কথামৃত’-এ বিধৃত শ্রীশ্রীঠাকুরের বাণীর একটি ভাষ্যালোচনা-গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। সেই অনুরোধেরই ফলশ্রুতি, ‘তব কথামৃতম্’। এ-গ্রন্থ শুধুই সমগ্র ‘রামকৃষ্ণ কথামৃত’-এর সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা নয়, শ্রীরামকৃষ্ণের যাঁরা গৃহী ও ত্যাগী শিষ্য এবং তাঁর পুণ্য সাহচর্য যাঁরা লাভ করেছিলেন, তাঁদের সর্বাঙ্গীণ পরিচিতি যেমন এতে দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে-ওঠা রামকৃষ্ণ-মঠ ও মিশনের নানান শাখা সম্পর্কেও বহু অজ্ঞাত তথ্যে সমৃদ্ধ এক সামগ্রিক পরিচয়ও এই গ্রন্থে।
সূচীপত্র * ‘শ্রীম’ ও ‘কথামৃত'-১১ * ‘কাঁচা আমি’ ও ‘পাকা আমি’-২৬ * ‘তাঁর ইতি করা যায় না’-৩৬ * ‘ঈশ্বরের শক্তিতে সব শক্তিমান’-৫১ * ‘তাঁর প্রেমের সাগরে ঝাঁপ দাও’-৬৫ * ‘কলমীর দল’-৭৯ * ‘শুধু পাণ্ডিত্যে কি হবে?’-১১৫ * ‘সত্য কথাই কলির তপস্যা’-১৩১ * কেউ পাপী নয়-১৪২ * মধুরভাব-১৫৫ * দৈব ও পুরুষকার-১৭৭ * ‘সংসার করতে দোষ কি?’-১৮৬ * ভক্তিপথ-২১২ * সাধুসঙ্গ ও সন্ন্যাসীর আদর্শ-২৬৫ * শ্রীরামকৃষ্ণ : সমাধিমন্দিরে-২৮১ * ‘কর্মের ফল আকাঙক্ষা করবে না’-২৯৫ * জ্ঞানপথ-৩০৫ * ‘যত মত তত পথ’-৩২৩ * অবতারবরিষ্ঠ-৩৪০ * বরানগর মঠ-৩৬১