প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 10 Jan 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
কমিয়ে দেখুন
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
সময় বাড়লো ক্লিয়ারেন্স সেল অফারের! বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন। তারপর সেই আন্দোলনকে ঘিরে একের পর এক নাটকীয় মোড়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নারকীয় হামলা। রেহাই পায়নি ছাত্রীরাও। পরদিনই ঘুরে দাঁড়ায় ছাত্রসমাজ। হল থেকে বিতাড়িত করা হয় ছাত্রলীগকে। আন্দোলন থামানোর জন্য হল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বের করে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
তখনই এই আন্দোলন নতুন মোড়ে এসে বাঁক খায়, যখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে আসে রাস্তায়।
লেলিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ, বিজিবি সহ সেনাবাহিনী পর্যন্ত। বয়ে যায় রক্তের মহাসমুদ্র। বন্দুকের নলের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায় আবু সাইদ। তার বুকে নির্মম ভাবে গুলি চালানো হয়। সেই দৃশ্য দেখে তৈরি হয় অযুত লক্ষ আবু সাইদ।
আবারও প্রমানিত হয় অত্যাচারীর নিষ্ঠুর বুলেট কখনও ন্যায্য দাবিকে কেড়ে নিতে পারেনা।
কোটা সংস্কারের সেই দাবি সময়ের প্রয়োজনে নয় দফা হয়ে শেষমেশ নেমে আসে সরকার পতনের একদফায়।
নতুন ইতিহাস রচিত হয় বাংলার বুকে। রাজপথে নেমে আসে লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী, তাদের সাথে যোগ দেয় সর্বস্তরের জনতা। গড়ে ওঠে জনগনের আন্দোলনের এক গনঅভ্যুত্থান।
হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দিয়ে রচিত হয় এক নতুন ইতিহাস। অত্যাচারী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের নব্য ইতিহাস।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে বাংলার আকাশে উদিত হয় দুর্নীর্তিমুক্ত সমাজ গড়ার এক নতুন স্বপ্ন। এ যেন নতুন দিগন্তে জেগেছে সম্ভাবনার অপার ভোর। সেই ভোরের প্রচ্ছন্ন আলোয় আলোকিত হচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলার মাঠ, ঘাট, অবারিত প্রান্তর।
বইটিতে রক্তক্ষয়ী জুলাই- আগস্ট মাসের প্রতিটি দিনের ধারাবাহিক বর্ননা সহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক প্রামান্য দলিল হিসেবে তুলে আনা হয়েছে ইতিহাসের এক জলন্ত সত্যের নির্মম অধ্যায়। সারা বিশ্বকে তোলপাড় করে দেওয়া এক স্বৈরাচারের পরাজয়ের রুঢ় বাস্তব আখ্যান।
অত্যাচারী ফ্যাসিবাদী শাসকের পতনের পর জনগনের বিজয় এবং ছাত্রদের হাত ধরে দুর্নীতিমুক্ত দেশের অগ্রযাত্রা যেন নতুন দিগন্তে জেগেছে এক সম্ভাবনাময় নতুন ভোরের উজ্জ্বল আলোকচ্ছটা।
দক্ষিণ বাংলার সীমান্তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোলে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার আটুলিয়া গ্রামে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এফসিএ ১৯৭৬ সালের ২০শে আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন। স্মৃৃতিময় দুরন্ত শৈশব ও বর্ণময় কৈশোর কেটেছে তার চাঁদের আলোয় রুপালি ঝিলিক তোলা ছোট্ট নদী চুনার তীরের নির্জন গ্রামে মনের আনন্দে খেলে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে। কখনো বা চাঁদনি রাতে ধবধবে সাদা জোছনার বুকে একাকী বসে থেকে, যেখানে পূর্নিমা রাতে আকাশ ভেঙ্গে নামা শুভ্র জোছনার প্লাবনে ভেসে যায় পল্লীর মাঠ, ঘাঠ, অবারিত প্রান্তর। কখনো বা জোনাক জ্বলা আঁধার রাতে তারার অলোয় পথ চলে। তিনি ১৯৯২ সালে এস,এস.সি পাশ করার পরে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর ২০১১ সালে Chartered Accountant হিসাবে Qualified হন এবং ২০১৬ সালে FCA ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে পেশাদার Fellow Chartered Accountant(FCA) হিসাবে কর্মরত। পুরস্কার : অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদ কর্তৃক অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০১৯ পদকে ভূষিত হন। মহাত্মা গান্ধী গবেষণা পরিষদ কর্তৃক মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮ অর্জন করেন। ওমর সিরাজ জি কিউ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক-২০১৮। রোহিঙ্গা জীবনের গল্প ‘‘সীমান্তের ওপারে” উপন্যাসের জন্য অমর সাহিত্য সন্মাননা- ২০১৮ লাভ করেন। এ কাদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ এবং সাউথ আটুলিয়া চ্যারিটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক“ শিশির ভেজা পথ” উপন্যাসে এইড্স নিয়ে জনসচেতনতায় অবদান রাখার জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ পদকে ভূষিত হন।