”কুবির গোসাঁই ও সাহেবধনী সম্প্রদায়” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা : দেড় শতাব্দী আগে উইলসন আর অক্ষয়কুমার দত্ত বাংলার নানা উপাসক। সম্প্রদায়কে শনাক্ত করে তাদের সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত জানিয়েছিলেন। তারপর গৌণধর্ম । বিষয়টাই বাঙালি বিদ্বৎসমাজে আবার গৌণ হয়ে পড়ে। এরপর উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শক্তিনাথ ঝা, সনৎকুমার মিত্র, ক্ষিতিমােহন সেন, রতনকুমার নন্দী, সুধীর চক্রবর্তী, আনােয়ারুল করীম, আবুল আহসান চৌধুরী প্রমুখ বাংলার গৌণ লােকধর্মগুলােকে আবার আলােচনায় তুলে আনেন। তারই ধারাবাহিকতায় তরুণ গবেষক রাজিব। আহমেদ এবার উন্মোচন করলেন কুবির। গােসাইয়ের জীবন-বৃত্তান্ত। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় আলােচিত হয়েছে সাহেবধনী সম্প্রদায় সম্পর্কিত তথ্যাদিও। আঠারাে শতকের গােড়ায় বাংলার বিভিন্ন অখ্যাত গ্রামে গড়ে উঠেছিল নানা গৌণধর্ম সম্প্রদায়। এসব গৌণ ধর্ম সম্প্রদায়ী। মানুষেরা সকলেই ছিল অন্ত্যজ জাতি। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার দোগাছিয়া অঞ্চলে উদ্ভব হয়েছিল ‘সাহেবধনী’ । সম্প্রদায়ের । পরে এখান থেকে আসন স্থানান্তরিত হয়ে দোগাছিয়া গ্রামের পূর্বদিকে জলাঙ্গী নদীর অপর পাড়ে বৃত্তিহুদা গ্রামে। স্থাপিত হয়। এই বৃত্তিহুদা গ্রামই। ‘সাহেবধনী সম্প্রদায়ের সাধন ক্ষেত্র। সাধনা ও লােকসঙ্গীত ঐতিহ্যের এই উর্বর ভূমিতে অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবেই কুবির গােসাঁইয়ের আবির্ভাব। বইটি শুধু পাঠ্য নয়, অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতাে।
জীবন ঘনিষ্ঠ বহুমাত্রিক লেখক রাজিব আহমেদ বাংলা মননশীল সাহিত্যকে ক্রমেই সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বিক্রয় ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫০ অতিক্রম করে গেছে। বাংলাদেশে আত্মোন্নয়নমূলক অভিনন্দন লাভ করেছেন। রাজিব আহমেদ চারটি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানিতে (রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার, বাংলালিংক ও রবি) দশ বছরের কর্মজীবন থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে এখন মুক্ত বিক্রয় প্রশিক্ষক ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তা; জয় করে চলেছেন অসংখ্য বিক্রয় পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও দর্শক শ্রোতার হৃদয়। লেখালেখি তার নেশা আর ভালোবাসেন দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে।