প্রি-অর্ডারের এই পণ্যটি 15 Jan 2025 তারিখে প্রকাশ পেতে পারে বলে প্রকাশনী থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষ কোন কারণে প্রকাশিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হতেও পারে.
বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল - ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যা: জাতীয় নিরাপত্তার ভবিষ্যৎ গড়ার পথ
বিশ্বের নিরাপত্তার প্রেক্ষাপট প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, আর এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল-এর ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যা আপনাকে নিয়ে যাবে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কৌশল ও ভূরাজনীতির গভীর বিশ্লেষণের জগতে। এই সংখ্যাটি নীতিনির্ধারক, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং সচেতন নাগরিকদের জন্য এক অনন্য দিশারী।
এই সংখ্যায় যা থাকছে:
সামরিক আধুনিকায়নের জন্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস: বিদেশি সামরিক তহবিলের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন। কীভাবে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতাকে দ্রুত উন্নত করছে, তা নিয়ে বিশ্লেষণ।
সংকটপূর্ণ প্রতিবেশী মিয়ানমার: সীমান্ত নিরাপত্তা, শরণার্থী ব্যবস্থাপনা ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের আলোকে মিয়ানমার সংকটের সামগ্রিক বিশ্লেষণ এবং স্থিতিশীলতার জন্য উত্তরণের দিকনির্দেশনা।
ডিজিটাল যুগের প্রতিরক্ষা: সাইবার যুদ্ধের যুগে উদীয়মান হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে, তা নিয়ে গভীর কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি ২০২৫: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শক্তির ভারসাম্য এবং শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য ভবিষ্যদ্বাণী ও প্রস্তুতি।
বিশেষ প্রতিবেদন - ফ্রন্টলাইন থেকে অভিজ্ঞতা: জাতীয় নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে সামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে একটি এক্সক্লুসিভ ফিচার।
ডিসেম্বরের এই সংখ্যা কেবল একটি জার্নাল নয়; এটি জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জটিলতাগুলি বোঝার একটি রোডম্যাপ। এক্সক্লুসিভ অন্তর্দৃষ্টি ও সর্বশেষ বিশ্লেষণে ভরপুর এই সংখ্যা আপনাকে চ্যালেঞ্জগুলো বুঝতে এবং কার্যকর সমাধান উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।
জাতীয় নিরাপত্তার আলোচনায় যুক্ত হতে এবং ভবিষ্যৎ গঠনের অংশীদার হতে আজই সংগ্রহ করুন বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল - ডিসেম্বর ২০২৪ সংখ্যা।
সামরিক কর্মকর্তা থেকে সাংবাদিক। এমনটি সচরাচর দেখা যায় না। আবু রূশ্দ একসময় ক্যারিয়ার হিসেবে সৈনিক জীবনকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই পেশা থেকে নিয়ে এসেছেন সাংবাদিকতায়। আবু রূশ্দ-এর জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায়। তার পিতা ছিলেন রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যাপক। রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করার পর অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন ১৩তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে। ক্যাডেট কলেজে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা ও ইংরেজী বিতর্কে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। পরবর্তীতে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে দীর্ঘ দুই বছরের প্রশিক্ষণকালে ৩য় ও ৪র্থ টার্মে যথাক্রমে কর্পোরাল ও আন্ডার অফিসার এ্যাপয়েন্টমেন্ট লাভ করেন। ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর কমিশন পান কোর্সের প্রথম দশজনের একজন হিসেবে। সিগন্যাল কোরের অফিসার হিসেবে বেসিক কোর্স ও স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রী এন্ড ট্যাকটিকস্-এ ওডব্লিউ কোর্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে স্বাস্থ্যগত কারণে অবসর দেয়া হয় ১৯৮৯ সালে। এল পি আর শেষে তদানীন্তন সরকার বেসামরিক পর্যায়ে সরকারি চাকুরি দেয়ার ব্যবস্থা করলেও তিনি তাতে যোগ দেননি। এরপর চলে আসেন সাংবাদিকতায়। এ পর্যন্ত সিনিয়র রিপোর্টার, বিশেষ সংবাদদাতা ও সহকারী সম্পাদক পদে কাজ করেছেন বেশক’টি প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকায়। টেলিভিশন রিপোর্টিং-এর উপর কোর্স করেছেন ও তাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতার শুরু আবু রূশ্দ-এর হাত দিয়েই। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে জাতিসংঘ পরিচালিত শান্তি রক্ষা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর আমন্ত্রণে গিয়েছেন সিয়েরালিওন ও দক্ষিণ সুদানে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেয়া ও মিডিয়া টিমের সদস্য হিসেবে ভ্রমণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানী, ইতালী, ফ্রান্স, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরালিওন, চীন ও পাকিস্তান। এছাড়াও ঘুরে বেরিয়েছেন তুরস্ক, মিশর, মালয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যা- ও হংকং। ২০০৮ সাল থেকে নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিরক্ষা বিষয়ক জার্নাল ‘বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নাল’। পাশাপাশি নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে বিদেশের অনেক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পত্রিকা ও জার্নালে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর টক শো’তেও অংশগ্রহণ করছেন নিয়মিত। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিবাহিনী ও মানবাধিকার’, ‘ইনসাইড ‘র’-ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার অজানা অধ্যায় (অনুবাদ)’, ‘বাংলাদেশে ‘র’: আগ্রাসী গুপ্তচরবৃত্তির স্বরূপ সন্ধানে’, ‘Secret Affidavit of Yahya Khan on 1971‘, এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তা, রণনীতি ও সশস্ত্র বাহিনী’। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে তার অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।