"কোন বাচ্চা কী খাবে" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বিভ্রান্তির শেষ নেই বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে। কোন বয়সের বাচ্চার ঠিকঠিক বেড়ে ওঠার জন্য কতটা খাবার দরকার, কোন খাবার এ নিয়ে প্রায়শই ধন্দে পড়েন মায়েরা। বাচ্চার সঠিক খাদ্য-পুষ্টি শুধু বাচ্চার বড় হবার জন্য নয়, বাচ্চার শরীর-মনের সুস্থ বিকাশের জন্যও। সবিশেষ জরুরি। এই বইতে আছে জন্মানাের পর থেকে শুরু করে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানসম্মত খাওয়া-দাওয়ার সুলুকসন্ধান। আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বলা হয়েছে নানা বয়সের বাচ্চার জন্য দরকারি খাবারদাবারের সূত্রগুলােকে নিয়ে। যা থেকে যে-কোনও বাবা-মা পেয়ে যাবেন বাচ্চার প্রয়ােজনীয় খাদ্যপুষ্টি নিয়ে হাজারটা জিজ্ঞাসার বিজ্ঞানসম্মত উত্তর। কোন খাবার বাচ্চার পক্ষে ভাল, কোনটা নয়, কেন নয়, ফাস্ট ফুড বনাম চিরাচরিত খাবার, এ সব নিয়ে বিস্তারিত আলােচনাই শুধু নয়, বাচ্চাদের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাড়াতে পারে এমন নানা খাবার নিয়েও বিস্তারিত আলােচনা। এই বই থেকে মায়েরা জানতে পারবেন সদ্যোজাত, একটু বড়, প্রাক-স্কুল শিশু, স্কুল-যাওয়া বাচ্চা, বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়ের জন্য প্রয়ােজনীয় খাদ্যপুষ্টির হালহদিশ। শুধু সুস্থ বাচ্চাই নয়, নানা রােগভোগে আক্রান্ত বাচ্চার খাওয়াদাওয়া নিয়েও আছে স্বচ্ছ, বিজ্ঞানসম্মত আলােচনা। বাংলাভাষায় বাচ্চাদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে, খাদ্য-অখাদ্য নিয়ে এরকম চিকিৎসাবিজ্ঞানের বই এই প্রথম। বাচ্চাদের খাদ্যপুষ্টির এক সম্পূর্ণ অভিধান।
(Dr. Shyamal Chakraborty) জন্ম ১৯৫৯ সালে, উত্তরপাড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। ষোলো বছর বয়সে “অণু আন্দোলন” পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। স্বাস্থ্য নিয়ে লিখছেন ১৯৮৩ সাল থেকে। একটানা বহু বছর ‘উৎস মানুষ’ পত্রিকায়। মাঝে সাময়িক ছেদ। ১৯৯২ থেকে আবার লিখছেন নতুন উদ্যমে। বিষয়: স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান আর ভ্ৰমণ। শরীর নিয়ে প্ৰবন্ধ লেখেন বর্তমান, সুস্বাস্থ্য, সাপ্তাহিক বর্তমান, আজকাল, উৎস মানুষ ও প্রতিদিন পত্রিকায়। অরণ্যপ্রেমিক। ফুরসত পেলেই চলে যান অরণ্যের কাছে। ভ্ৰমণকাহিনী লেখেন সানন্দা, ভ্ৰমণ, সাপ্তাহিক বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন ও অন্যান্য পত্রিকায়। এখন লিখছেন ছোটগল্প, রম্যরচনাও। দীর্ঘ গবেষণার ফসল “স্বপ্ন দেখেন কেন” বইটি পাঠক মহলে আলোড়ন তুলেছে। ডাক্তারি করতে করতে ডাক্তার, লিখতে লিখতে লেখক। প্রচলিত ছকের বাইরে লিখে বেঁচে থাকতে চান এভাবেই। ভাললাগা: ছবি তোলা, বেড়ানো, আর স্বপ্ন দেখা।